বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থপাচার: নাম না জানালে ‘অপরাধ কমবে না’

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:৫৮

‘তাদের (অর্থপাচারকারী) নাম ঠিকানা, কীভাবে অর্থপাচার করল, কীভাবে বিদেশে বাড়ি তৈরি করল, এটা জানা দরকার। না হলে তো অপরাধ কমবে না।’

বিদেশে অর্থপাচারকারীদের দেশ ও জাতির শত্রু বলেছে হাই কোর্ট। তাদের নাম প্রকাশ না হলে অপরাধ কমবে না বলে মনে করে উচ্চ আদালত।

বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নাম, ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে রোববার স্বপ্রণোদিত আদেশ দেয়ার আগে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলে।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের (অর্থপাচারকারী) নাম ঠিকানা, কীভাবে অর্থপাচার করল, কীভাবে বিদেশে বাড়ি তৈরি করল, এটা জানা দরকার। না হলে তো অপরাধ কমবে না।’

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কানাডায় অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সরকার। পাচারকারীদের বেশিরভাগ সরকারি কর্মকর্তা।

তবে এই কর্মকর্তা কারা, তাদের নাম প্রকাশ করেনি সরকার। কারও বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি।

হাই কোর্ট আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে তথ্য চেয়েছে।

পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ‘নিষ্ক্রিয়তা’ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।

হাই কোর্ট বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই যে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে, তাদের নাম ঠিকানা কী, সেটাতো তো জানা দরকার। এরা দেশ ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করছে বলে আমি মনে করি। কারণ দেশে পড়াশোনা করে, দেশের মাটিতে থেকে, দেশের বাইরে টাকা পাচার করবে, এটা কি বেইমানি নয়?’

ওই সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, ‘এটা কালচার (সংস্কৃতি) হয়ে গেছে।’

জবাবে বিচারক বলেন, ‘দেশের মাটিতে থাকবে, পড়াশোনা করবে কিন্তু সবশেষে দেশকে ঠকিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করবে, এটা তো হতে পারে না। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে, এটা কখনও করতে পারে না।’

আদালত বলে, ‘এভাবে তো আমরা দুর্বৃত্তদের গ্রহণ করতে পারি না। দেশের টাকা অবৈধভাবে বাইরে চলে যাবে, আমাদের এতগুলো আইনগত সংস্থা, কোর্ট রয়েছে। আমাদের অবশ্যই এগুলো বন্ধ করতে হবে।’

এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এ বিভাগের আরো খবর