কানাডাসহ দেশের বাইরে অর্থপাচারকারীদের নাম, ঠিকানাসহ সব তথ্য চেয়েছে হাইকোর্ট।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ায় নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুলও জারি হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন রাজনীতিবিদেরা নন, বিদেশে বেশি অর্থ পাচার করেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
অর্থপাচারের ২৮টি ঘটনার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চার জন। কানাডার টরন্টোতে বাংলাদেশিদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।