অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনিরের নামে তিনটি মামলা করেছে র্যাব।
অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ তিনটা মামলা করা হয়।
রোববার সকালে মামলাগুলো হয় বলে জানিয়েছেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিটি মামলায় মনির ছাড়াও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। মনিরকে রোববার আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
এর আগে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করে র্যাব।
অভিযান চলাকালে মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে মনিরের বাসা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, চার লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ২০ হাজার ৫০০ রিয়াল, ৫০১ ইউএস ডলার, ৫০০ চীনা ইয়েন, ৫২০ ভারতীয় রুপি, এক হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার, দুই লাখ ৮০ হাজার জাপানি ইয়েন, ৯২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ১০ হংকং ডলার, ১০ ইউএই দিরহাম ও ৬৬০ থাই বাথ উদ্ধার করা হয়।
৬০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, এক কোটি নয় লাখ টাকা, দুইটি বিলাসবহুল প্রাডো গাড়ি উদ্ধার করেছে র্যাব। গাড়িগুলো মনির ও তার পরিবার ব্যবহার করলেও র্যাবকে কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি মনির।
এ ছাড়া তার মালিকানায় থাকা অটো কার সিলেকশন নামের শো রুম থেকে তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোও অবৈধ বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের অভিযানে মনিরের বাসা ও অটো কার সিলেকশন অফিস থেকে রাজউক ও ভূমি সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের ভুয়া সিলমোহর পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, এই সিলগুলো ব্যবহার করে ভূমি আত্মসাতের জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানাতেন মনির।
র্যাব জানিয়েছে, মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের কর্মজীবন শুরু হয় বিক্রয়কর্মী হিসেবে। কয়েক বছরের মধ্যে তিনি লাগেজ ব্যবসা থেকে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন।
র্যাব আরও জানায়, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ভূমি জালিয়াতিতে লিপ্ত হন মনির। মালিক হন দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের। এভাবে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক হন।