যৌতুক না পেয়ে যৌনাঙ্গে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তার সুইটিকে ঢাকায় আনা হয়েছে।
শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পূর্ব কোদালা সন্ধীপাড়া গ্রামে শুক্রবার ভোরে স্বামী মোহাম্মদ রাসেল তার বাড়িতে সুইটির শরীরে কোমর থেকে নিচের অংশে পেট্রল দিয়ে আগুন দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে সুইটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পেট্রলে ঝলসে শ্বশুরকে ফোন
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার ওই নারীর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার শরীরের কোমর থেকে নিচের অংশ।’
শনিবার দুপুরের দিকে চমেক থেকে সুইটিকে ছাড়পত্র দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের কথা বলেন সেখানকার চিকিৎসকরা। পরে বিকেলের দিকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনতে রওনা হন স্বজনরা।
সুইটির বাবা হারুন অর রশিদ জানান, সাত বছর আগে পাশের গ্রামের রাসলের সঙ্গে সুইটির বিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের একটি চার বছরের সন্তান রয়েছে। বিয়ের প্রথম দিকেই খুব ভালো কাটছিল। কিন্তু পরে যৌতুক দাবি করে প্রায়ই মারধর করত সুইটিকে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সুইটির সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাকে ফোন করে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান। পরে সুইটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
ফোন করার পরই রাসেল বাড়ি থেকে সটকে পড়েন।
আরও পড়ুন: স্বামীর পেট্রলের আগুনে দগ্ধ নারীকে আনা হচ্ছে ঢাকায়
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ওই নারীর বাবা।
শনিবার রাসলেকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।