বরিশালের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবোঝাই বাসে ড্রামের ভেতর থেকে পাওয়া নারীর মরদেহের পরিচয় পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।শনিবার পুলিশ জানায়, ওই নারীর নাম সাবিনা বেগম।
তিনি বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুরের সাহেব আলীর মেয়ে ও কুয়েত প্রবাসী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ৩০ বছর বয়সী সাবিনা দুই শিশু সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন বলে জানায় পুলিশ।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে সাবিনা বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দিয়াসুরে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। সেখানে বাচ্চাদের রেখে তিনি বরিশালে যান।
গৌরনদী পুলিশ একদিনের ব্যবধানে শনিবার বিকালে নারীর পরিচয় নিশ্চিত হলেও হত্যার কারণ এখনো উদঘাটন করতে পারেননি।
শুক্রবার রাতে বরিশালের আন্তঃরুটে যাতায়াতকারী আরসি পরিবহনের একটি বাস বরিশালের কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ভুরঘাটার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটি নগরীর গড়িয়ারপার এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি একটি ড্রাম বাসে তুলে দেন।
তিনি হেলপারকে বলেন, ড্রামে কাচের জিনিস আছে; তার লোকজন ভুরঘাটা থেকে ড্রামটি নামিয়ে নেবে। বাসটি ভুরঘাটা পৌঁছানোর অনেক পরও কেউ ড্রাম নিতে আসেনি। এক পর্যায়ে বাসের সব যাত্রী নেমে যায়।
পরে হেলপার নিজেই ড্রামটি বাস থেকে নামিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় খুলে এক নারীর লাশ পান।
পরে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসের চালক ও হেলপারকে থানায় নেয়া হয়।
ওসি আফজাল হোসেন জানান, সুরতহাল রিপোর্টে ওই নারীর মাথার পেছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই নারীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করতে ড্রামে ঢুকিয়ে নিরাপদ কোনো স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। এই খুনের নেপথ্য কারণ কী তা খুঁজতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।