বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সশস্ত্র বাহিনীর এত আধুনিকায়ন কখনও হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৪৭

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি শাখাকে আধুনিক সমরাস্ত্র ও উপকরণ দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারের সময় সশস্ত্র বাহিনীতে যে আধুনিকায়ন করা হয়েছে অতীতে কোনো সময়ই তা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দেয়া ভাষণে এ কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি শাখাকে আধুনিক সমরাস্ত্র ও উপকরণ দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুটি পদাতিক ব্রিগেড, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন, সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা ও তদারকির জন্য একটি কম্পোজিট ব্রিগেড, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন ছাড়াও ১০টি ব্যাটালিয়ন, এনডিসি, বিপসট, এএফএমসি, এমআইএসটি, এনসিও’স একাডেমি ও বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আইএফএফ প্রস্তুতকরণ প্রকল্প, মাইন-টর্পেডো ডেভেলপমেন্ট, গান ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ক্রমাগত প্রচেষ্টা ও নিজস্ব বিশেষজ্ঞ দিয়ে উন্নত প্রযুক্তির সফটওয়্যার তৈরি করে সাইবার নিরাপত্তা ও নেটওয়ার্ককেন্দ্রিক ওয়্যারফেয়ারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের পররাষ্ট্রনীতি হলো প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। তবে যেকোনো আগ্রাসী আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।

‘সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষানীতি ১৯৭৪-এর আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র বাহিনীকে সাংগঠনিকভাবে পুনর্গঠন, উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিশেষায়িত সামরিক সজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে।’

দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে সেনা সদস্যরা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে লকডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে মহামারি প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনা করে যাচ্ছে।

‘এ ছাড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকার সমন্বিত করোনাভাইরাস চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। করোনাকালে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নানা কার্যক্রমও অত্যন্ত প্রশংসা কুড়িয়েছে।’

মালদ্বীপের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারে দেয়া চিকিৎসা সামগ্রী নৌবাহিনীর জাহাজে পৌঁছে দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে বিমান বাহিনীর ১৭টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার কথাও উঠে আসে তার ভাষণে। 

শেখ হাসিনা জানান, জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‌বিজয় লেবাননের বৈরুতে থাকা বাংলাদেশি পরিবারগুলোকে খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণ করেছে। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে করোনা আক্রান্তদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেছে।

করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে প্রাণ হারানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত ও আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।  

স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পর সশস্ত্র বাহিনী গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সীমিত সম্পদ নিয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালেই গড়ে তোলেন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল ও সেনাবাহিনীর প্রতিটি কোরের জন্য স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিনটি ঘাঁটি উদ্বোধন করেন; ভারত ও যুগোস্লাভিয়া থেকে সংগ্রহ করেন নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ। ১৯৭৩ সালে বিমান বাহিনীতে সংযোজন করেন মিগ-২১ যুদ্ধবিমানসহ হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান ও এয়ার ডিফেন্স রাডারের মতো অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।’

সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের জন্য নেয়া বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সদস্যদের ছুটি নগদায়নের অর্থ প্রদান ১২ মাসের পরিবর্তে ১৮ মাসে উন্নীত করা হয়েছে। জেসিও ও অন্যান্য পদবির পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ১৫ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর জেসিও ও অন্যান্য পদবির সদস্যদের মৃত্যুবরণ এবং স্থায়ীভাবে অক্ষম হওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘ শান্তিমিশনে সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের অবদান স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল পদবির অফিসার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন এবং ফোর্স কমান্ডার হিসেবে একজন মেজর জেনারেল বা লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদবির অফিসার নিয়োগের কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।’

বর্তমান সরকারের সময় সশস্ত্র বাহিনীতে প্রথম নারী সদস্য নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর থেকে সেনাবাহিনীতে পাঁচ জন নারী সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হয়ে সম্মুখসারির যুদ্ধ ইউনিটের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সরকারের সময়ই প্রথম বিমান বাহিনীতে নারী বিমানসেনা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর