ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনের ভোট চলাকালে বিএনপি অফিসের অদূরে গাড়ি পোড়ানোর ভিডিও দেখে ছাত্র ও যুবদলের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এরা হলেন লিয়ন হক, কাজী রেজাউল হক বাবু ওরফে জিম বাবু ও মো. আজাদ। এদের মধ্যে লিয়ন পল্টন থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। বাবু পল্টন থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর আজাদ যুবদল কর্মী।
শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
গত ১২ নভেম্বরের ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে সকালে নয়াপল্টেনে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে ছাত্র ও যুবদল নেতারা। পরে বিজয়নগরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়।
সেদিন এক ঘণ্টার মধ্যে মোট নয়টি আর পরে আরও দুটি বাসে আগুন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের দাবি, বিএনপির নেতা-কর্মীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ভোটে কারচুপি লুকাতে এই কাজ করেছে সরকার।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, সব ঘটনার ভিডিও আছে সরকারের কাছে। যারা আগুন দিয়েছে, তারা সবাই ধরা পড়বে।
সেদিনের আগুনের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ১৬টি মামলা হয়। পল্টন ও মতিঝিল থানায় করা চারটি মামলা তদন্ত করছে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তা এম হাফিজ আক্তার জানান, শনিবার ভোরে পল্টন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনাক্ত হওয়া তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১২ নভেম্বর দুপুরে বিএনপি কার্যালয় থেকে বের হওয়া মিছিলটি উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়ে। গ্রেফতারকৃতরা তাদের সহযোগীদের সহায়তায় পল্টন বিএনপি পার্টি অফিসের বিপরীতে অবস্থিত কর অঞ্চল-১০ এর সামনের থাকা সরকারি স্টাফ বাসে আগুন দেয়।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘জিম বাবু গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে দেয় এবং আরেকজন আগুন দেয়। এখানে ইমতিয়াজ নামে আরেকজন যুবদলকর্মী ছিল, তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে।