বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিক্রয়কর্মী থেকে হাজার কোটির ব্যবসায়ী

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:১৫

সংবাদ ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ’৯০ এর দশকে গাউছিয়া মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনির। পরে রাজধানীর মৌচাকের একটি ক্রোকারিজের দোকানে কাজ নেন।

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় র‌্যাবের অভিযানে বিপুল মুদ্রা, অস্ত্র ও মদসহ আটক ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের কর্মজীবন শুরু হয় বিক্রয়কর্মী হিসেবে। কয়েক বছরের মধ্যে তিনি লাগেজ ব্যবসা থেকে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন বলে র‌্যাব জানায়।

একপর্যায়ে রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ভূমি জালিয়াতিতে লিপ্ত হন মনির। মালিক হন দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের। এভাবে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) শুক্রবার মধ্য রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কার, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে।

মনিরের বাসায় অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ’৯০ এর দশকে গাউছিয়া মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনির। পরে রাজধানীর মৌচাকের একটি ক্রোকারিজের দোকানে কাজ নেন। এক লাগেজ-ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর মনির এ ব্যবসায় যুক্ত হন।

প্রথমে মনির ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে কাপড়, প্রসাধনী, মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার সামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কর ফাঁকি দিয়ে লাগেজে করে আনা-নেওয়া করতেন। একপর্যায়ে তিনি স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন।

চোরাচালানের অভিযোগে ২০০৭ সালে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তার নামে কয়েকটি মামলা হয়।

ব্যবসায়ী মনিরের বাসা থেকে উদ্ধার করা দেশি-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কার, অবৈধ অস্ত্র ও মদ। ছবি: সাইফুল ইসলাম

 

র‌্যাব আরও জানায়, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে মনির রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। তিনি রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ডিআইটি প্রজেক্টের একাধিক প্লট নিজের করে নেন।

এভাবে রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি করে এবং অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাফতরিক সিল ব্যবহার করে রাজউকের পূর্বাচল, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে বিপুলসংখ্যক প্লট নিজের নামে নেন।

তিনি বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের অধিকারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের ৩০টির বেশি প্লট থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

রাজউক থেকে ৭০টি ফ্ল্যাটের নথি নিয়ে আইন-বহির্ভূতভাবে নিজের হেফাজতে রাখেন মনির। ভূমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় রাজউক ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

এ ছাড়া দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক মনিরের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলা তদন্তাধীন।

এ বিভাগের আরো খবর