বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি চাকরি চায় শহীদুন্নবীর পরিবার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:২২

‌‌‌‘জুয়েলকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু তার সন্তানদেরকে মানুষ করতে হবে। তার স্ত্রী একজন গ্র্যাজুয়েট। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী অনেককে চাকরি দেন, সেই উদারতা থেকে জুয়েলের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দিলে তার সন্তানরা মানুষ হওয়ার সুযোগ পাবে।’

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে মসজিদে তর্কাতর্কির জেরে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর আর্থিক সংকটে পড়েছে জানিয়ে পরিবারটির জন্য একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার আকুতি জানানো হয়েছে।

শনিবার রংপুর মহানগরীর পূর্ব শালবন এলাকায় শহীদুন্নবীর বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো জানানো হয়।

স্বজনরা বলেন, গত ২৯ অক্টোবরের নির্মমতার শোক, ক্ষোভ কাটিয়ে এখন দুশ্চিন্তা, বেঁচে থাকার জন্য অর্থ সংস্থান কীভাবে হবে।

শহীদুন্নবী রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গ্রন্থাগারিকের চাকরি ছাড়ার পর গত চার বছর ধরে তার সংসার চালাতে আর্থিক সহায়তা করে আসছিলেন বড় বোন হাসনা আক্তার লিপি। শহীদুন্নবী নিজেও কিছু আয়ের চেষ্টা করতেন।  

হাসনা ধনকুবের নন। তিনি নিজে চাকরি বা ব্যবসা করেন না। তার স্বামী একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। নিজের সংসারের খরচ বাঁচিয়ে ভাইকে কিছু সহায়তা করতেন। তার মৃত্যুর পরেও করে যাচ্ছেন। কিন্তু এটি কত দিন ধরে করে যাওয়া সম্ভব, তা নিয়ে নিজেই চিন্তিত।

তাই হাসনা চান শহীদুন্নবীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার মুক্তাকে সরকারি চাকরি দেয়া হোক। তিনি বলেন, ‌‌‘জুয়েলকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু তার সন্তানদেরকে মানুষ করতে হবে। তার স্ত্রী একজন গ্র্যাজুয়েট। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী অনেককে চাকরি দেন, সেই উদারতা থেকে জুয়েলের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দিলে তার সন্তানরা মানুষ হওয়ার সুযোগ পাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও তিনটি দাবি জানান শহীদুন্নবীর স্ত্রী। এগুলো হলো: পলাতক আসামিদের গ্রেফতার, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নেয়া এবং মামলা রংপুরে স্থানান্তর করা।

মুক্তা বলেন, ‘ওই দিন সেখানে কোরআন অবমাননার কোনো ঘটনা ঘটেনি’ বলে অপবাদ থেকে মুক্ত করা হয়েছে। মূল আসামিদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাই ধন্যবাদ জানাই।’

হাত পেতে চলতে চান না মুক্তা। তিনি বলেন, ‌‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে অনেক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান সেভাবে আমাদের পাশেও দাঁড়াবেন বলে আশা করছি।’

এক বন্ধুকে নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী গিয়েছিলেন শহীদুন্নবী। সেখানকার একটি মসজিদে তর্কাতর্কির জেরে তাকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। তার বন্ধুকে জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আলোড়ন তোলা এই ঘটনায় মামলা হয়েছে মোট তিনটি। এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর