রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কার, অবৈধ অস্ত্র ও মদ উদ্ধার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে মনিরকে আটক করা হয়।
র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বাসায় শুক্রবার রাতে অভিযানে যায় র্যাব।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
শুক্রবার রাত ১১টায় অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনিরের বাসভবনের সামনে র্যাব সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
- আরও পড়ুন: অস্ত্র ও মাদকসহ ‘গোল্ডেন মনির’ আটক
ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, চার লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ২০ হাজার ৫০০ রিয়াল, ৫০১ ইউএস ডলার, ৫০০ চায়নিজ ইয়েন, ৫২০ ভারতীয় রুপি, ১০০০ সিঙ্গাপুরি ডলার, জাপানি ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন, মালয়েশিয়ার ৯২ রিঙ্গিত, হংকংয়ের ১০ ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১০ দিরহাম, ৬৬০ থাই বাতসহ মোট ৮ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৬ টাকা মূল্যমানের বিদেশি মুদ্রা, ৬০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তার বাসার নিচের পার্কিংয়ে দুটি অবৈধ প্রাডো গাড়ি পাওয়া গেছে। এগুলো তিনি ও তার পরিবার ব্যবহার করত। কিন্তু কোনো বৈধ কাগজ নেই। এ ছাড়া তার মালিকানাধীন অটো কার সিলেকশনে তিনটি অবৈধ গাড়ি পাওয়া যায়।
মনিরের বাসায় ও কার সিলেকশনের অফিসে রাজউক ও ভূমি কর্মকর্তাদের ভুয়া সিলমোহর পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করে ভূমি আত্মসাতের জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানাতেন বলে জানায় র্যাব।
ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে মনির অনেক প্লটের মালিক হয়েছেন। এখন পর্যন্ত র্যাব ২০০টি প্লটের খবর পেয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির ৩০টির কথা স্বীকার করেছেন।