পুলিশের উপস্থিতিতেই বরগুনার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন শিপনের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে শিপনের শ্যালক উজ্জল নিউজবাংলাকে বলেন, শিপনকে কোপানোর সময় বেতাগী থানার উপপরির্দশক (এসআই) আলাউদ্দিনসহ তিন জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলেই ছিলেন। এ সময় তারা হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টাও করেননি।
তবে বেতাগী থানার উপপরিদর্শক আলাউদ্দীনের মোবাইলে জানান, ‘আমরা ঘনাটাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।’উজ্জল আরও বলেন, একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফের নেতৃত্বে শিপনের ওপর হামলা হয়েছে। ইমাম হাসান শিপন জেলা যুবলীগ ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে সরিষামুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ শরীফের সঙ্গে ২০১৬ সালে শিপনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে শিপনের নেতৃত্বে ইউসুফের ওপর হামলা হয়। এ ছাড়া বেতাগীতে একটি সভায় ইউসুফকে লাঞ্ছিত করেন শিপন।
শিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ওই ইউনিয়নে ইউসুফের সমর্থকরা কোনঠাসা হয়ে পড়ে। সব মিলে ইউসুফ সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ছিল।ঘটনার পর থেকে ইউসুফের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ইউসুফের স্বজনদের কার সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম
বরগুনা সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার মহররম হোসেন বলেন, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করেছি। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার সরিষামুড়ী ইউনিয়নের সাতঘর কালিকাবাড়ি বাজার এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিপন। সেখান থেকে ফেরার পথে নাপিত বাড়ির সামনে ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে যায়। তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তারেক হাসান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম পায়ের হাড় বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়া কাটা পড়েছে তার ডান পায়ের রগ। জখম রয়েছে ডান হাতের ওপরে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।