বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে বিশ্বনেতাদের প্রধানমন্ত্রীর সতর্কতা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ নভেম্বর, ২০২০ ২০:২৯

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে বিশ্ব নেতাদের সম্মিলিত উদ্যোগ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একই সঙ্গে নতুন উদ্ভাবিত অ্যান্টিবায়োটিক যেন সকলেই গ্রহণ করার সামর্থ রাখে তাও নিশ্চিত করতে হবে।  আমি নতুন প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবনে গবেষণায় সম্মিলিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের বিষয়ে সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

কার্যকর উদ্যোগ নেয়া না হলে অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীলতা কোভিডের চেয়েও মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মানুষ ও প্রাণীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীলতা সারা বিশ্বের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে এসেছে। অপরিণামদর্শী খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া আমাদের নতুন এক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে এবং বিশ্ব এক নতুন সংকটের দ্বারপ্রান্তে, যা কোভিডের চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

‘এর ফলে বহুযুগ ধরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবায় যে সাফল্য এসেছে তা ম্লান হয়ে যেতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ও ভুল ডোজে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ এবং দুর্বল সংক্রমণরোধী ব্যবস্থাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এফএও এবং ওআইই এর যৌথ আয়োজনে ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার গ্রুপ অব অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্টেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে কো-চেয়ার হিসেবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীলতা ঠেকাতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০১৫ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নেয়া অ্যাকশন প্ল্যানে অনুপ্রাণিত হয়ে অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীলতা সংবরণ বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনা ২০১৭-২০২২ গ্রহণ করা হয়। একে দেশের সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ বলেও অবিহিত করেন তিনি।  

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে বিশ্ব নেতাদের সম্মিলিত উদ্যোগ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একই সঙ্গে নতুন উদ্ভাবিত অ্যান্টিবায়োটিক যেন সকলেই গ্রহণ করার সামর্থ রাখে তাও নিশ্চিত করতে হবে।  আমি নতুন প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবনে গবেষণায় সম্মিলিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের বিষয়ে সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম মন্তব্য করে এই উদ্যোগ সফল করতে প্রচার, কারিগরি ও আর্থিক সমর্থন অব্যাহত রাখতে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর