বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরদেহের সঙ্গে যৌনতা: যেভাবে শনাক্ত যুবক

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:১২

‘কি একটা লজ্জার মধ্যে পরে গেসি ভাই! আমার পুরো জীবন টাই শেষ করে দিসে। ভাইগনাটাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম।’

বয়স ২০। দুই বছর ধরে মামার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে।

রাতে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী মেয়ের মরদেহ এলে ফাঁকা পেলে সেগুলোর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এই তরুণের বিরুদ্ধে।

একটি অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে নেমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) খুঁজে পেয়েছে পাঁচটি ঘটনার তথ্য। গ্রেফতার করা হয় এই তরুণকে।

এই খবরে ভীষণ লজ্জিত ছেলেটির মামা যিনি নিজে নিয়ে এসেছিলেন তাকে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কি একটা লজ্জার মধ্যে পরে গেসি ভাই! আমার পুরো জীবন টাই শেষ করে দিসে। ভাইগনাটাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম।

‘গত বুধবার দুপুর দুইটার সময় সে খাইতে বের হয়। তারপর গতকাল রাত ১১ টার সময় শুনি সিআইডি তাকে গ্রেফতার করসে। আমরা মনে করসিলাম ও প্রতিদিনকার মতো খাইতে গেসে। কিন্তু যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সে ফিরে আসে নাই, তখন চিন্তায় পড়ে গেলাম। কারণ মর্গের চাবি তার কাছে।’

এর পর ভাগ্নে কী করেছেন, সেটা সিআইডির কাছে জানতে পারেন এই ডোম।

সিআইডি জানায়, মোহাম্মদপুর ও কাফরুল থানায় কয়েকটি মৃত্যুর তদন্তে নেমে ভ্রান্তিতে পড়ে সিআইডি। মেয়েদের যৌনাঙ্গে একই মানুষের বীর্যের উপস্থিতিতে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা বা ধর্ষণজনিত আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছিল।

পরে অনুসন্ধানের জন্য ঢাকা মেট্রো-পশ্চিম বিভাগকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে সেই তদন্ত দল সিদ্ধান্তে আসে যে, মরদেহের সঙ্গে যৌনতায় জড়িয়েছে কেউ না কেউ।

তদন্তে বের হয়ে আসে, গ্রেফতার যুবকই পাঁচটি ঘটনার সময় রাতে মরদেহ পাহারা দেয়াসহ মর্গে অবস্থান করেন।

এক পর্যায়ে সিআইডি নজর রাখছে বুঝতে পেরে গা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে শেরেবাংলা নগর থানার মামলা করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার রাতে আসামিকে গ্রেফতার করেন। এরপর তার ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করে সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়। এরপর প্রমাণ হয়, মরদেহের থাকা বীর্য এই তরুণের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এর পেছনে অবশ্যই একটা লম্বা ইতিহাস রয়েছে। যৌনতার একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আছে। এর বাইরে বিকৃত আনন্দ পাওয়ার জন্য অনেক রকম বিষয় কাজ করে। একে বলে প্যারাফিলিয়া। তবে অভিযুক্তের সাথে কথা না বলে ও তার ইতিহাস না জেনে বলা যাচ্ছে না যে, প্যারাফিলিয়া কি না।’

এ বিভাগের আরো খবর