মুন্সিগঞ্জে স্পিডবোটে করে এসে চলন্ত লঞ্চের যাত্রীদের কাছ থেকে মালামাল লুটে নিয়েছে ডাকাত দল।
খবর পেয়ে নৌ পুলিশের দল ঘটনাস্থলে গেলেও তাদের চেয়ে ডাকাত দলের নৌযানের গতি বেশি থাকায় তাদেরকে পাকরাও করা যায়নি।
তিন মাসের ব্যবধানে জেলায় দ্বিতীয়বারের মতো এই ধরনের লঞ্চ ডাকাতির ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরগামী এমভি মকবুল-২ লঞ্চে ডাকাত দল হানা দেয়।
ডাকাত দল নগদ প্রায় ১০ লাখ টাকা, শতাধিক মোবাইল সেট ও কয়েক লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা জানান, লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর থেকে রাত নয়টায় চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। এতে দুইশর মত যাত্রী ছিল।
রাত দশটার দিকে গজারিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় এসে পৌঁছে। এর আগে স্পিডবোটে করে একজন যাত্রী লঞ্চে উঠেন।
ঘাট পার হওয়ার পর লঞ্চটি যখন নদীর ষাটনল মোহনায় ছিল তখন দুটি স্পিডবোটে করে ১০/১২ জনের একটি ডাকাতদল নৌ যানটিতে উঠে।
তারা প্রথমে তিনটি ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাত্রীদেরকে যার যা আছে তার সব দিয়ে দিতে বলে।
যাত্রীরা জানান, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে ডাকাতি। পরে স্পিডবোটে করেই পালিয়ে যায় ডাকাতদল।
গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুজবিুর রহমান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান তারা। তবে ডাকাতদল দ্রুতগতির স্পিডবোট ব্যবহার করে পুলিশের নাগালের বাইরে চলে যায়।
ডাকাতদের ধরতে রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। নদীতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে ১৪ আগস্ট মেঘনা নদীর চর কালিপুরা এলাকায় দিনের বেলায় লঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।
সে সময়ে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদরে জিম্মি করে নগদ প্রায় দুই লাখ টাকা, ৩০টি মোবাইল সেট ও ৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয় ডাকাতদল।