নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য নামে আলাদা বিভাগ থাকছে না। সবাইকে সব কিছু পড়তে হবে।
২০২২ সালে থেকেই এই পদ্ধতিতে পাঠদান করা হবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ২০২২ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পর্যাক্রমে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রমের বই হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সবাইকে সব বিষয় পড়তে হলেও পাঠ্য বিষয় কমানো হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়নকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেয়া হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বোঝা কমবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।
সংসদে সামরিক সরকারের সময়ে প্রণীত মাদ্রাসা শিক্ষা অধ্যাদশকে আইনে পরিণত করতে ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিল-২০২০’ নামে একটি বিলও পাস হয়েছে। মন্ত্রী সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা।
তবে ওই প্রস্তাব ও সংশোধনী গৃহীত হয়নি। গত ৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংসদে উত্থাপিত বিলে বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের বদলে ১৫ জন করা হয়েছে। আর রেজিস্ট্রারকে সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের মতো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমাও ৬০ বছর করা হয়েছে।