বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবরার হত্যা: আরও এক সহপাঠীর সাক্ষ্য

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ২১:২৮

সাইফুল বলেন, 'এ মারধরের ঘটনার পর যখন পুলিশ আসে আমি তখন আবরারের লাশের কাছে ছিলাম।'

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় বৃহস্পতিবার ২৮তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বুয়েটের ইইই বিভাগের ছাত্র মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি আবরারের সহপাঠী ও শেরেবাংলা হলের ২০৩ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে সাইফুল ইসলাম বলেন, আবরার ফাহাদকে ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ২০০৫ নম্বর আনা হয়েছে শুনে আমি ও আমার সহপাঠী বন্ধু মোয়াদ ২০০৫ নম্বর রুমে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আবরার ফাহাদ খালি গায়ে রয়েছে। তখন এহতেশামুল রাব্বী তামিম আমাকে আবরার ফাহাদের একটি শার্ট নিয়ে আসতে বলে। আমি ২০১১ নম্বর রুমে গিয়ে শার্ট আনি এবং আমি ও মোয়াদ আবরার ফাহাদের গায়ে পরিয়ে দিই।

সাইফুল আরও বলেন, রুমের মধ্যের বৈদ্যুতিক আলোতে আমি আসামি মেহেদী হাসান রাসেল, মুনতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম, হোসেন মোহম্মদ তোহা, মো. শামিম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হোরায়রা, মুনতাসির আল জেমী, অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না,সামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, ও ইফতি মোশাররফ সকালসহ আসামিদেরকে চিনতে পারি।সাইফুল বলেন, এ মারধরের ঘটনার পর যখন পুলিশ আসে আমি তখন আবরারের লাশের কাছে ছিলাম। রাত তখন অনুমান ৪টা ২০ মিনিট।

 

সাক্ষী দেয়ার সময় সাইফুলের মা মোসাম্মাৎ সুফিয়া খাতুন আদালতের এজলাস কক্ষে হাজির ছিলেন। সাক্ষীর বর্ণনা শুনে আবরার ফাহাদের বাবার দুই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।

এরপর ধারাবাহিকভাবে আসামিপক্ষে আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, আমিনুল গণী টিটো এবং রেজাউল ইসলামসহ অন্য আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরায় অংশ নেন। করোনা আক্রান্ত থাকায় আসামি অমিত সাহার আইনজীবী মাহবুব আহমেদ আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

বুয়েট ছাত্র আবরারকে পেটানোর পর সন্দেহভাজনরা ধরাধরি করে কক্ষ থেকে বাইরে নিয়ে যান। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সে দৃশ্য। ফাইল ছবি

 

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩ টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

 

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ৬ জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার ৩ আসামি এখনও পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।

১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর