বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিসিএস: ১৭ বছর পর ভাইভার সুযোগ

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ২০:২২

৪৮ বছর বয়সে মৌখিক পরীক্ষা দেবেন বেসরকারি হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুমনা সরকার। লিখিত পরীক্ষায় পাস করলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার সনদ সংক্রান্ত জটিলতায় ১৭ বছর আগে আটকে যায় ভাইভা।

২১ তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা পাস করলেও ভাইভা (মৌখিক) পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হয়নি। ১৭ বছর পর অবশেষে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেন চিকিৎসক সুমনা সরকার।

প্রায় দেড় যুগ আইনি লড়াইয়ে আদালতে কেটেছে সুমনার দিন। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বয়স পেরিয়ে গেছে। তবে যেহেতু আবেদন করার সময় তার বয়স ২৮ ছিল, তাই তিনি মৌখিক পরীক্ষা দিতে পারছেন।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সুমনা সরকারের ভাইভা পরীক্ষা নিতে সরকারি কর্ম কমিশনকে নির্দেশ দেয়। ভাইভায় পাস করলে তাকে নিয়োগ দিতেও বলেছে আদালত।

সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ে সন্তোষ জানিয়েছে সুমনা সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাইভায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছিল, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সেটি প্রমাণ হলো। আমি অনেক খুশি।’

সুমনা সরকারের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল হলেও বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে চাকরি করছেন।

তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কৃষ্ণ সরকারও চিকিৎসক ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্য ছিলেন।  

সুমনা বলেন, ‘দুই বছর আগে বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন।’

সুমনা সরকারের আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু নিউজবাংলাকে বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০০ সাল পর‌্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২৩ তম বিসিএস (বিশেষ) স্বাস্থ্য ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে অংশ নেন সুমনা সরকার।

সে সময় মুক্তিযোদ্ধার সনদ সংক্রান্ত জটিলতার কারণ দেখিয়ে সুমনাসহ অনেক পরীক্ষার্থীর ভাইভা পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হয় না। পরে তারা ভাইভা পরীক্ষা দিতে পারেনি।

এ ঘটনায় তাদের মধ্যে থেকে ১২ জন ২০০৩ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাদের ভাইভা পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে ওই ১২ জন ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগও পান।

সুমনা সরকারও ২০০৯ সালে এসে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৫ সালে হাইকোর্ট তার ভাইভা নেয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করে পিএসসি।

চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের রায়টি ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর স্থগিত করে দেয়। এরপর দীর্ঘ দিন মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারের অপেক্ষায় ছিল।

আদালতে সুমনা সরকারের পক্ষে ছিলেন মোতাহার হোসেন সাজু। তাকে সহযোগিতা করেছেন আরেক আইনজীবী সেলিনা আক্তার চৌধুরী। অন্যদিকে পিএসসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম খালেদ আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর