চারদিকে দুঃশাসন চেপে বসেছে মন্তব্য করে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেছেন, তার সংগঠন হামলা-মামলাকে ভয় পায় না।
সংগঠনের ৪০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়।
খুলনায় আন্দোলনরত পাটকল শ্রমিক মফেল কর্মকার ও মৌলভীবাজারের চা শ্রমিক নোসের আলি এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
কমিটি গঠনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে।
উদ্বোধন শেষে গণসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
উদ্বোধনী সমাবেশে পাটকল শ্রমিক মফেল কর্মকার বলেন, ‘আমরা যখন চাকরি হারায়ে দিশেহারা, তখন আমাদের পাশে এসে দাঁড়াইসে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা।’
চা শ্রমিক নোসের আলি বলেন, চা শ্রমিকরা রাষ্ট্রের কাছে সবচেয়ে অবহেলিত মানুষ। তাদের ন্যায্য মজুরির যে লড়াই, তাতে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা সবসময় পাশে থেকেছে।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে আমরা যখন নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লংমার্চ করলাম, সেখানেও বর্বর হামলা চালানো হলো। পাটকল শ্রমিকরা যখন তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলেন তখন তাদের ওপরও হামলা হলো, জেলে ঢোকানো হলো। আবার সময় এসেছে এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়ানোর।’
১৭ অক্টোবর সকালে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে ফেনী শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মিছিল করে লং মার্চে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা। ঢাকা থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ অভিমুখে রওনা হওয়া লং মার্চে সকালে হামলা হয় ফেনীতে।
সমাবেশে শেষে র্যালি বের করে ছাত্র ইউনিয়ন। ছবি: নিউজবাংলা
বৃহস্পতিবারের সমাবেশে শেষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে ছাত্র ইউনিয়ন। র্যালিটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন দিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।সম্মেলন পরবর্তী কাউন্সিল অধিবেশন চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।
কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক মনীষী রায়।
তিনি বলেন, করোনার সময়ে এবার সীমিত পরিসরে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধির কারণে সারা দেশ থেকে ছাত্র জমায়েত করা হয়নি।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্র ইউনিয়ন।