গত ১৯ অক্টোবর ছেলেটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন মেয়েটি। সেদিনই করা হয় গ্রেফতার। জামিন শুনানির সময় আসামির আইনজীবী জানান, দুই পক্ষ বিয়েতে রাজি। আদালত জামিন দেয়ার পর স্বামী নিয়ে ঘরে ফেরেন মেয়েটি।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরে। বিয়ের পর পরই আসামিকে জামিন দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমান সর্দার।
অতীতের তিক্ততা ভুলে দুজনকে সুখের সংসার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারক। মামলার বলা হয়, গুরুদাসপুর উপজেলার মকিমপুর মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় হয় ছেলেটির। গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে মেয়েটির বাসায় যান ছেলেটি। সেখানে ধর্ষণ করা হয়। মোবাইলে এর ভিডিও ধারণ করা হয়। মেয়েটির বাড়ির লোকজন টের পেলে ছেলেকে আটক করে। ছেলেটি বিয়ে করবে জানিয়ে কাজী ডেকে আনার কথা বলে পালিয়ে যান।মামলায় বলা হয়, মেয়ের বাড়ি থেকে চলে আসার পর বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন ছেলেটি। প্রায় এক মাস পর ১৯ অক্টোবর মেয়েটি গুরুদাসপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ওই দিনই ছেলেটিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এই মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামির আসামির আইনজীবী মঞ্জুরুল ইসলাম। জানান, পাশাপাশি ছেলে-মেয়ের বিয়েতে দুই পরিবার রাজি।
এর পর পরই শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। আদালত চত্বরে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ান মোমিন কাজী।
তিনি জানান, চার লাখ টাকা দেনমহরে পঞ্চাশ টাকা উসুলে হয়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। কারাগার থেকে কাবিননামায় সই করেন বর।
নাটোর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম জানান, বিয়ের ব্যাপারে আদালতের কোনো ভূমিকা ছিল না। ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকরা এই বিয়ে করিয়েছেন। আদালত বাধা দেয়নি।
একই দিন ফেনীতেও ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বাদীর। সেই বিয়ে হয়েছে কারাগারে।
সেখানেও তরুণ তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি করে ধর্ষণের মামলা করার পর হাই কোর্ট জামিন পেতে বিয়ের শর্ত দেয়। পরে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যস্ততায় হয় বিয়ে।