এক দিনের ক্ষোভ বিক্ষোভ শেষে পুরোদমে কাজে ফিরেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যদিও প্রাইভেট চেম্বার ও অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রেখেছেন তারা।
বেসরকারি মানসিক হাসপাতালে পুলিশের এএসপির মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনের মুক্তির দাবিতে আলোচনাও চলছে।
বৈঠক শেষে চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, প্রাইভেট চেম্বার ও অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখবেন তারা।
বুধবার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসকরা। তবে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল খোলার পরে স্বাভাবিক কার্যক্রমই শুরু হয়।
বন্ধ করে দেয়া মাইন্ড এইড হাসপাতালে পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তার মুক্তির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএমপি) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিয়দ নেতারা আলোচনা করছেন।
দুপুর একটার দিকে বিএমএর মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী এই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে হাসপাতালটির পরিচালক ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
একজন চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদফরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেছি, এখন একটা বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে রোগীর সেবা বন্ধ নেই।’
পুলিশ বলছে, এএসপি আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি ৯ নভেম্বর চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে।
কিন্তু সেখান থেকে হাসপাতালটির রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্ররোচনায় ও সরাসরি হস্তক্ষেপে তাকে আদাবরের নামমাত্র ক্লিনিক মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে ‘পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়।
পুলিশের অভিযোগ, খবর পেয়ে মামুন নিজেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত আনিসুলকে আবার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। এ কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, বিভাগীয় তদন্ত ছাড়া একজন চিকিৎসককে গ্রেফতার চরম অবমাননাকর, যা মোটেও কাম্য নয়।
মামুনের গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএমপি)।