দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে টানা চার দিন দুই হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের শুরু থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০-এর নিচে নমুনা পরীক্ষা করা হতো। নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে।
তিন দিন আগে গত সোমবার ১৫ হাজার ৭৬৮ নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত হয় দুই হাজার ১৩৯ জন। গত ৭০ দিনের মধ্যে এটাই শনাক্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
মঙ্গলবার ১৫ হাজার ৯৯০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে রোগী শনাক্ত হয় দুই হাজার ২১২ জন, যা গত ৭৬ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
বুধবার ১৬ হাজার ৪৬৯ নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত হয় দুই হাজার ১১১ জন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে চার লাখ ৪১ হাজার ১৫৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩০৫ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৫৩১ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এ সময়ে সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৯৩৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন তিন লাখ ৫৬ হাজার ৭২২ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ ও নারী ৫ জন। বয়স বিবেচনায় চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাত ও ষাটোর্ধ্ব ২১ জন। শতাংশ হিসাবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও নারী ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ২৫, চট্টগ্রামে এক, রাজশাহীতে এক, বরিশালে দুই ও সিলেটে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের অষ্টম মাস চলছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৬ জন। মোট শনাক্ত হয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৮ জন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৪তম। আর মৃতের দিক থেকে ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।