স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা বিনয় কুমার ঘোষ। পদ মেকানিক্যাল ফোরম্যান। ২০১২ সালে সরকারি চাকরি জীবনের শুরুর পর দুর্নীতিকে রীতিমতো ‘শিল্পের’ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তিনি।
যে জেলাতেই গেছেন সেখানেই প্রতারণা অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নামমাত্র শাস্তি হয়েছে কখনও কখনও, তবে সেসব ‘ম্যানেজ’ করে আবার দোর্দণ্ড প্রতাপে নতুন কোনো জেলায় গড়ে তুলেছেন দুর্নীতির সাম্রাজ্য।
সবশেষ বরগুনায় ঠিকাদারদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিনয়ের বিরুদ্ধে।
তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে রাঙামাটিতে বদলির আদেশ দেয়া হলেও নতুন কর্মস্থলে তিনি এখনও যোগ দেননি।
বিনয় কুমারের বাড়ি রাজশাহী শহরের রাজপাড়া এলাকায়। ২০১২ সালে এলজিইডির প্রকৌশল শাখার মেকানিক্যাল ফোরম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগ দেন জয়পুরহাট কার্যালয়ে। সড়ক নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত এলজিইডির যানবাহন তদারকি ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল তার।
সেখান থেকেই শুরু লাগামহীন দুর্নীতির। ঠিকাদারদের কাজ দেয়ার নামে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেন বিনয়। এ অভিযোগে চার বছরের মাথায় তাকে জয়পুরহাট থেকে বদলি করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
সেখানেও বিনয়ের দুর্নীতি ছিল মাত্রাছাড়া। এলজিইডি কার্যালয়ের পরিত্যক্ত মোটরযান, আসবাবপত্রসহ ঠিকাদারি যন্ত্রপাতি নিলামের মাধ্যমে পাইয়ে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে অথবা চাকরি দেয়ার নাম করে, ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
দুর্নীতির কারণে একবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। তবে অদৃশ্য ক্ষমতায় ২০১৮ সালেই আদেশটি প্রত্যাহার হয়। কেবল ইনক্রিমেন্ট স্থগিতের নামমাত্র শাস্তি দিয়ে তাকে বদলি করা হয় বরগুনায়। ২০১৯ সালের সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বরগুনা কার্যালয়ের যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে যোগ দেন। এরপর শুরু হয় দুর্নীতির নতুন অধ্যায়।
ভাইয়ের ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতি
বরগুনায় যোগ দেয়ার পরে শহরের উকিলপট্টির ফুয়াদ জোমাদ্দারের বাসায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন বিনয়। ধীরে ধীরে তিনি সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন স্থানীয় ঠিকাদার ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে। একে একে তাদের অনেকেই আটকে যান তার প্রতারণার ফাঁদে।
ঠিকাদারদের ফাঁদে ফেলতে ‘মেসার্স বিপ্লব এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেন বিনয়। নিজের ছোটভাই বিপ্লব কুমারের নামে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দাবি করা হলেও নির্ধারিত ঠিকানা রাজশাহীর রাজপাড়ায় এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিনয়ের স্বজনেরাও নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া।
বরগুনায় বিনয়ের প্রতারণার শিকার হয়েছেন রাজধানীর শ্যামলী এলাকার এসআর ট্রেডিংয়ের মালিক ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন সুমন। শুধু তার কাছ থেকেই বিনয় হাতিয়ে নিয়েছেন ৬৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
সুমন নিউজবাংলাকে জানান, গত জানুয়ারিতে স্থানীয় এলজিইডির বরগুনা কার্যালয়ের অকেজো গাড়ি ও যন্ত্রপাতি নিলামের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় বিনয় পরিচিত ঠিকাদারদের ফোন করে জানান, এই নিলাম থেকে প্রায় কোটি টাকার গাড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাইয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে তিনি কিনতে যাচ্ছেন।
সুমন বলেন, ‘বিনয়ের ফোন পেয়ে আমি বরগুনায় আসি। টাউন হল এলাকার আবাসিক হোটেল প্রিন্স টাওয়ারের কক্ষে তার সঙ্গে আলোচনা হয়। তিনি জানান, গাড়িসহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার যন্ত্রপাতির নিলাম হবে। তিনি নিজের ভাইয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে যে কোনোভাবে সেগুলো কিনবেন।’
নিলামে কেনার পর সমস্ত মালামাল সুমনের কাছে বিক্রির আশ্বাস দেন বিনয়। তবে শর্ত দেন, নিলামের বিপরীতে যত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে, সবটাই সুমনকে পরিশোধ করতে হবে। নিশ্চয়তা হিসেবে বিনয় তাকে এলজিইডি বরগুনা কার্যালয় থেকে তার বেতনের ভাউচার ও নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্ল্যাংক চেক দেবেন। এতে রাজি হন সুমন।
১৩ মার্চ বিনয়কে নগদ সাত লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপর সাত মাসে বিভিন্ন ধাপে সব মিলিয়ে ৬৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন সুমন। এই টাকা নেয়ার সময় বিনয় এলজিইডির প্যাডে নিজের অফিসিয়াল সিলে ‘বুঝিয়া পাইলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন। ১৩ এপ্রিল সুমনকে তিনি সোনালী ও উত্তরা ব্যাংকে নিজ অ্যাকাউন্টের দুটি ব্ল্যাংক চেক ও এলজিইডির বেতনের ছয়টি ভাউচার দেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ও টাকা নেয়ার কাগজপত্র পেয়েছে নিউজবাংলা।
সমস্ত টাকা পরিশোধের পর এক মাসের মধ্যে নিলামের মালামাল সুমনকে বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রতি দেন বিনয়। সমঝোতা অনুযায়ী, মালামাল বুঝে না পেলে নিলামের পর বিনয়ের দেয়া চেকের মাধ্যমে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন সুমন।
তবে এখনো সেই মালামাল বুঝে পাননি সুমন, এমনকি ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় বিনয়ের অ্যাকাউন্টও শূন্য।
সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনয় নিলামের সব টাকা তো নিয়েছেনই, গত নয় মাসে বরগুনায় আসা-যাওয়ায় আমার আরো পাঁচ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আমি এই প্রতারকের বিচার চাই।’
বরগুনায় ওই একই নিলাম নিয়ে সুমনের মতো প্রতারণার শিকার হয়েছে আরো অনেকে।
জুলাই মাসে বরগুনা এলজিইডি গোপনে সেই নিলামের বিজ্ঞপ্তি দেয়। যথারীতি সর্বোচ্চ দরদাতা হয় বিনয়ের ভাইয়ে নামের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স বিপ্লব কনস্ট্রাকশন’।
বিনয় ১০ লাখ টাকায় সব মালামাল কিনে নিয়ে জালিয়াতি করে বদলে ফেলেন কার্যাদেশের নথিপত্র। বিপ্লব কনস্ট্রাকশনের প্যাডে বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সিল স্বাক্ষর জাল করা এই নথিতে বলা হয়, নিলামে তিনটি টয়েটা প্রাডো পিকআপ, তিনটি ট্রাক, চারটি ট্রাক্টর, ৭৫টি মোটসাইকেল, তিনটি হট মিক্সিং প্ল্যান্ট, ১৮টি রোড রোলার ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি বিক্রি হয়েছে।
বাস্তবে নিলামে ওঠা যানবাহন ও যন্ত্রপাতির সংখ্যা ছিল এর চেয়ে অনেক কম। এই জাল নথি দেখিয়ে নতুন ফাঁদ তৈরি করেন বিনয়।
এগুলো বিক্রির কথা বলে ঠিকাদার উত্তম কুমারের কাছ থেকে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, বাদল নামে একজনের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা, নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িচালক টিটুর কাছ থেকে চার লাখ টাকা, রোলার ড্রাইভার নাসিরের কাছ থেকে চার লাখ টাকা, ঠিকাদার বশিরের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা, এলজিইডির নৈশ প্রহরী আনসারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা, উত্তরা ব্যাংকের কর্মকর্তা ফখরুলের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকাসহ আরো বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বিনয়।
অন্যদিকে, তিনি ১২ লাখ টাকায় নিলামের সব মালামাল গোপনে বিক্রি করে দেন আমতলার পাড়ের ফরহাদ জোমাদ্দারের কাছে।
ঘটনাটি জানাজানির পর চলতি মাসের ৫ তারিখে নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে একটি ছুটির আবেদন দিয়ে পরিবারসহ লাপাত্তা হন বিনয় কুমার।
তিনি উধাও হওয়ার পরে বেরিয়ে এসেছে দুর্নীতির আরো কাহিনি। জানা যায়, বরগুনা শহরের টাউন হল এলাকার বিকাশ ও নগদের এজেন্ট জুলফিকার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা, একই এলাকার বিকাশ/নগদ ব্যবসায়ী রায়হান সিফাতের কাছ থেকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাদেরকেও দেয়া হয়েছিল ব্যাংকের চেক, তবে অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় সেগুলোও প্রত্যাখ্যাত হয়।
জয়পুরহাটেও প্রতারণার জাল
জয়পুরহাট এলজিইডিতে ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন বিনয় কুমার ঘোষ। মেকানিক্যাল ফোরম্যান পদে চাকরি করে জেলার অনেক বিত্তবান মানুষের কাছ থেকে সে সময় তিনি হাতিয়ে নেন কয়েক কোটি টাকা।
ভুক্তভোগী কয়েকজনের খোঁজ পেয়েছে নিউজবাংলা। তারা হলেন, জয়পুরহাট শহরের নতুন হাট এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মুস্তাকুল ইসলাম মোস্তাক, হারাইল এলাকার জহুরুল ইসলাম, পারুলিয়া এলাকার লিটন হোসেন, কালাই পৌর শহরের বাসিন্দা ইফতাদুল হক, জয়পুরহাট শহরের ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান ঝানু।
মুস্তাকুল ইসলাম মোস্তাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনয় এলজিইডি অফিসে চাকরি করার সময়ে আমি ঠিকাদারি করতাম। তিনি আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ধার নেন। পরে সবার অগোচরে এখান থেকে বদলি হয়ে যান। অনেক অনুনয় বিনয় ও মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি। বাকি টাকা আজও পাইনি।’
জহুরুল অভিযোগ করেন, তিনি বিনয়কে প্রায় ১৮ লাখ টাকা দিয়ে প্রায় সবটাই খুইয়েছেন।
এত টাকা বিনয়কে কেন দিলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এলজিইডি অফিসের মালামাল নিলামে পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই টাকা হাতিয়ে নেন বিনয়। দরবার করে অল্প কিছু ফেরত পেলেও বেশিরভাগ টাকা আর পাওয়া যায়নি।’
অন্যদিকে, লিটন জানান, নিলামের লোভ দেখিয়ে বিনয় তার কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন। ফেরত না দেয়ায় আদালতে যেতে বাধ্য হন লিটন। আদালত বিনয়ের এক বছরের কারাদণ্ডসহ সাত লাখ টাকা ফেরত দেয়ার আদেশ দিলেও পরে বিষয়টি ঝুলে যায়।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট এলজিইডি কার্যালয়ের অফিস সহকারি আইরিন পারভীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়গুলো অনেক আগের, তাই সব মনে পড়ছে না। তবে বিনয় কুমারের বদলির পর অনেক মানুষ টাকা পাবেন বলে অফিসে এসে মৌখিক অভিযোগ করেছে।’
এলজিডি কার্যালয়ের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী এফএম খায়রুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যোগ দেয়ার পর জানতে পারি বিনয় কুমার ঘোষ বিভিন্ন অনিয়মে যুক্ত ছিলেন। বিষয়টি অনেক আগের হওয়ায় আমার পক্ষে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। তবে যতদূর শুনেছি অফিসের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও আসবাবপত্রের কথা বলে তিনি বিভিন্ন দোকান থেকে বাকিতে মালামাল কিনতেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পালিয়ে বেড়াতেন বিনয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলজিইডিতে চাকরির প্রায় পুরোটা সময় পাওনাদারদের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন বিনয় কুমার। এলজিইডি কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, অল্প সময়ের চাকরির মধ্যেও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
এর মধ্যে শহরের সানশাইন মোটর্সের মালিক দানীউল হকের কাছ থেকেই ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন বিনয়। আরো কয়েকজন ঠিকাদারও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন অভিযোগের মুখে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বদলি করা হয়।
বিনয় এখন কোথায়
বরগুনা থেকে উধাও হওয়ার পর বিনয় কুমার ঘোষ এখন কোথায় তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
ঢাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারি প্রকৌশলী (প্রশাসন) মানস মণ্ডল নিউজবাংলাকে জানান, বিনয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে অধিদফতরের ওয়াকিবহাল। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাই তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে বরগুনা থেকে রাঙামাটিতে বদলি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বদলি একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। কারণ চেয়ারে রেখে কারও সম্পর্কে তদন্ত করলে সেটি প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার (বিনয়) বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্যই এই বদলি।’
তবে রাঙামাটি এলজিইডি কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. শহীদ মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনয় নামে কেউ আমাদের এখানে যোগ দেননি, এ ধরনের যোগদানের কোনো তথ্যও আমাদের কাছে নেই।’
বিনয় কুমার ঘোষের অপকর্মের বিষয়ে মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধানের জন্য এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল শাখা থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি বরগুনায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সম্প্রতি কথাও বলেছে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. মুহসীন রেজা নিউজবাংলাকে জানান, এই কমিটি চলতি সপ্তাহে সম্ভব না হলেও আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন দেবে। এতে বিনয় দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনে অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ নিয়ে বিনয় কুমারের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। তবে তার দুটি মোবাইল ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে এলজিইডি বরগুনা কার্যালয় কোনো কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ফোরকান আহমেদ কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তড়িঘড়ি করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন- শাহ আলম খান, ঢাকা; আহসান হাবীব অপু, রাজশাহী; রাজীব হাসান, জয়পুরহাট; আব্দুর রব নাহিদ, চাপাইনবাবগঞ্জ; সুপ্রিয় চাকমা, রাঙামাটি