অভিযোগ গঠনের তৃতীয় কার্যদিবসের মাথায় ধর্ষণ মামলার রায় এসেছে কুষ্টিয়ার একটি বিচারিক আদালত থেকে।
রায়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদেরকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। আনাদায়ে দেয়া হয়েছে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড।
এ ছাড়া অর্থদণ্ডের টাকা আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসা ছাত্রীকে দেয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদের আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পুড়ন: ধর্ষণ: পাঁচ দিনের বিচারে যাবজ্জীবন
মামলায় বলা হয়, অক্টোবরের ৪ তারিখে মাদ্রাসার এক আবাসিক ছাত্রীকে দুদফা ধর্ষণ করেন মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদের। এ ঘটনায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা। এর পরপরই অভিযুক্ত আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাত্র ৯ দিনের মাথায় ১৩ অক্টোবর তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে আব্দুল কাদের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
১২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই দিন আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক রায় দেন।
কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘মাত্র তিন কার্যদিবসে ধর্ষণের এ রায় যুগান্তকারী। সরকারের নতুন আইনের পর দ্রুত সময়ে এই রায় দেয়া সম্ভব হয়েছে। এটি ধর্ষণ ঠেকাতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
এর আগে ১৯ অক্টোবরে বাগেরহাটের মোংলায় একটি ধর্ষণ মামলায় পাঁচ কার্যদিবসের শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়। রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।