প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচি, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের মা শেখ রাজিয়া নাসেরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন হয়।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বেগম রাজিয়া নাসের ডলির জানাজা হয়। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান এবং মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যরাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৩ বছর বয়সী শেখ রাজিয়া নাসের। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে স্মৃতিচারণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ও দেশ বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নাসেরকেও নৃশংসভাবে হত্যার পর রাজিয়ার পরিবারকে যে চরম নিরাপত্তাহীনতা, হয়রানি ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয়েছিল।
শেখ হাসিনা জানান, ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর তাকে সব সময় মায়ের ভালোবাসা দিয়ে পাশে থেকে রাজিয়া সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন।’
মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদ আবু নাসেরের স্ত্রী শেখ রাজিয়া নাসের খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল, শেখ রুবেল ও শেখ বাবুর মা। তার দৌহিত্র শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য।