নানা কর্মসূচি ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী।
কৃষক-শ্রমিক আন্দোলনের পুরোধা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমির অন্যতম এই অগ্রনায়ক না ফেরার দেশে চলে যান ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে তার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। কর্মসূচির শুরুতেই সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভাসানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন।
এরপর মওলানা ভাসানীর পরিবার, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন, অসংখ্য ভক্তসহ সর্বস্তরের মানুষ জননেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
ভক্তদের কণ্ঠে ‘যুগ যুগ জিও তুমি মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মজলুম জননেতার সমাধিস্থল।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীতেও।
বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ভাসানীর জন্ম ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধনগড়া গ্রামে।
মুসলিম লীগের প্রগতিশীল একটি অংশের উদ্যোগে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে গঠিত হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। সেই দলটিই ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শে ‘আওয়ামী লীগ’ রূপ নেয়।
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। সে সময় কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে করা হয় যুগ্ম সম্পাদক।