ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চের ছাদে শামীম হাওলাদার নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবন-১১ নামের লঞ্চ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শামীমের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুপিলা গ্রামে। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ, দায়িত্বে থাকা আনসার ও নৌ পুলিশ সদস্যরা জানান, লঞ্চটি মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে বরিশালে পৌঁছায়। যাত্রীরা নামার পর ভোর ৬টার দিকে লঞ্চ পরিষ্কার করতে যান কর্মচারীরা। ওই সময় তিন তলার ছাদে ধোঁয়া নির্গমনের চিমনির আড়ালে শামীমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
বরিশাল নৌ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই যুবকের পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বাকি তথ্য জানা যাবে।
সুপারভাইজার মো. সিরাজ জানান, যেখানে লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে সাধারণত যাত্রীরা যান না। রাতে ঢাকা থেকে বরিশাল আসার কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, লঞ্চের ছাদে যাত্রী ওঠা নিষেধ। ছাদে ওঠার গেটও বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ওই যুবক কীভাবে ছাদে উঠলেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হত্যা রহস্য উদঘাটনে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হবে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পারাবাত-১১ নামের আরেকটি লঞ্চ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।