শিশু সুরক্ষায় অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কিশোর আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
সোমবার সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের আয়োজনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস- এর সঙ্গে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিমত দেন তিনি।
শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে বাবার ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘পিতামাতার সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি, বিশেষ করে বাবার ভূমিকা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এক্ষেত্রে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।’
শিশুদের আইনি সহায়তা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিশোর আদালতের সংখ্যা আমাদের দেশে সীমিত। এটি বাড়ানো উচিৎ, যাতে শিশুরা যখন প্রয়োজন দ্রুত আইনি সহায়তা পেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ‘শিশু আইন ২০১৩’ এ কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব দেয়। যে কোনো অবস্থায় শিশুদের শারীরিক ও অবমাননাকর শাস্তি নিষিদ্ধকরণে আইনি নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব তুলে ধরে বেসরকারি সংস্থাটি।
সংশোধনী প্রস্তাবগুলোয় সমর্থন দিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু।
তিনি বলেন, ‘পারিবারিকভাবে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কর্মসূচির জন্য রাস্তায় অর্থ সংগ্রহের কাজে সমাজের নানা স্তরের শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিৎ।
সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ যেহেতু শিশু, শিশুদের যে কোনো সমস্যাই জাতীয় সমস্যা।
তিনি বলেন, সংশোধনী প্রক্রিয়ায় পিসিসিআর (পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটস) সহযোগিতা করবে। আইন প্রয়োগের জন্য সরকার ব্যবস্থার ভূমিকা বিশেষত বিভিন্ন স্তরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের ইতিবাচক মানসিকতা গুরুত্বপূর্ণ।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের অন্য সদস্যরাও সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন চাইল্ড প্রোটেকশন ও চাইল্ড রাইটস গভার্ন্যান্স সেক্টরের পরিচালক আব্দুল্লা আল মামুন এবং চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের সিনিয়র ম্যানেজার মজিব-উল-হাসান।