চাকরি দেয়ার কথা বলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের যুবক আব্দুল ওহাব অপহরণ মামলায় এসেছে নতুন মোড়। মামালার তদন্তে কিডনি পাচার চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ ঘটনায় রায়হান আলী (৩৯) নামে পাচারচক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে গাইবান্ধা পিবিআই।
শহরের পলাশপাড়ার পিবিআই কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।
তিনি জানান, ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সোহালী গ্রামের আব্দুল ওহাবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একই উপজেলার পশ্চিম বানিহালি গ্রামের নুর আলমের ছেলে রাকিবুল হাসান। এরপর থেকে নিখোঁজ হন ওহাব।
এ ঘটনায় ওহাবের বাবা মজিদ সরকার বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৩ নভেম্বর রাকিবুল ঢাকার গাজীপুরে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ওহাবকে কিডনি পাচার চক্রের হাতে তুলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
মামলাটি তদন্তভার পিবিআই নেয়ার পর ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কিডনি পাচার চক্রের সদস্য রায়হানের সম্পৃক্ততা মেলে। গত ১৩ নভেম্বর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে রায়হানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ বলেন, গ্রেফতার রায়হান রোববার গাইবান্ধার অতিরিক্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নজরুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে রায়হান জানান, রাকিবুলের কাছ থেকে নিয়ে সান এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আব্দুল ওহাবকে ভারতে পাঠিয়ে দেন তিনি। সেখানে দীর্ঘদিন আটকে রাখার পর একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে ওহাবের কিডনি বের করে নেয় চক্রটি।
এ চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।