ধর্ষণ মামলায় কারাগারে থাকা যুবক যদি বিয়ে করেন অভিযোগ তোলা মেয়েটিকে- তাহলে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করবে আদালত। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের এমন আদেশের পর বিয়ের তারিখ ঠিক করেছেন দুই পক্ষের অভিভাবক।
আগামী বৃহস্পতিবার এ বিয়ে হবে ফেনী কারাগারে।
মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়া উদ্দিনের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীর ৮ নং চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম চর দরবেশ গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ মে ভোরে একই ঘরে অবস্থান করা অবস্থায় গ্রামবাসী জিয়া ও অভিযোগকারী মেয়েটিকে আটক করে। স্থানীয়রা দু’জনকে বিয়ে দিতে চাইলে জিয়া ও ছেলের বাবা আবু সুফিয়ান মেম্বার রাজি হননি। সেদিন মেয়েটি সোনাগাজী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ একইদিন গ্রেপ্তার করে জিয়াকে।
বিচারিক আদালতে ব্যর্থ হয়ে জিয়ার জামিনের জন্য হাইকোর্টে যান জিয়ার আইনজীবীরা। গত ১ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ আদেশ দেয়, জিয়া ওই মেয়েকে বিয়ে করলে জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
আসামিপক্ষ এতে রাজি হলে বিয়ের আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয় ফেনী জেলা কারা কর্তৃপক্ষকে।
ফেনী জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত করেছি। আগামী ১৯ নভেম্বর সকাল ১১টা এই বিয়ে হচ্ছে। দুই পক্ষের (বর-কনে) পরিবারের সঙ্গেই আমাদের কথা হয়েছে। তারা বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
ছেলের বাবা আবু সুফিয়ান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কারাগারে বিয়ের পর জহির মুক্তি পেলে বাড়িতে বড় করে অনুষ্ঠান করব। আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলের বউকে ঘরে তুলে নেব।’
মেয়ের বাবা বলেন, ‘বিয়ের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। আমি চাই মেয়ে সুখ শান্তিতে থাকুক।’
আইনজীবীরা জানান, এ বিয়ের পরবর্তী অবস্থাও পর্যবেক্ষণে রাখবে উচ্চ আদালত।