দুর্নীতি মামলায় ১৩ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে জামিন দেয়নি আপিল বিভাগ। তার জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ১৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ কারণে আরও এক মাস কারাগারে থাকবেন মীর নাছির।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
আদালতে মীর নাছিরের পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ৮ নভেম্বর মীর নাছির আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার-২ নম্বর বিশেষ জজ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পরে তাকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে দুর্নীতি মামলায় আপিলের অনুমতি চেয়ে মীর নাছির ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের আবেদন ১৫ অক্টোবর খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ছেলে ও পরে বাবা আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যান।
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিনের ১৩ বছর ও তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনের তিন বছরের সাজা বহাল রেখে গত বছরের ১৯ নভেম্বর রায় দেয় বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একই সঙ্গে রায়ের কপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে আদালত।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাছিরকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়।
রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দুটি আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেয়।
আরও পড়ুন: আদালতে যেতেই হচ্ছে ছেলেসহ মীর নাছিরকে
হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল চেয়ে দুদক আপিল করে। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন গ্রহণ করে রায় দেয় আপিল বিভাগ।
রায়ে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করা হয়।