প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার বিকল্প দেখছেন না সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আনা সাধারণ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন জাতীয় পার্টির নেতা।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেদিন অসুস্থ থাকায় রওশন সংসদে ছিলেন না।
এক সপ্তাহ পর সংসদে এসে রওশন বলেন, শেখ হাসিনার পরিশ্রমে তিনি মুগ্ধ।
রওশন বলেন, ‘দিনরাত ২৪ ঘণ্টা দেশ নিয়ে কাজ করেছেন। করেই যাবেন। উনি ছাড়া বিকল্প কেউ নেই। বিকল্প কাউকে দেখি না। তাকেই এ দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির নেত্রী মনে করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আর এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘তিনি দেশ ও দেশের জনগণের জন্য এত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দেশ অনেক এগিয়েই গেছে, তার নেতৃত্বে আরও এগিয়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
সংসদ থেকে বাসায় গিয়েই শুয়ে পড়েন জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলেছেন। এটা কী করে সম্ভব তা ভেবে আশ্চর্য হয়ে যাই।’
রওশন বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে দুর্গমগিরি পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। উল্লেখযোগ্য বহু অর্জন আমাদের আছে। বড় বড় আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নজর বাংলাদেশের দিকে। বাংলাদেশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধিতে চীন, ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে পদ্মা সেতু ও নদীগর্ভে টানেল। তবুও বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য অর্জনে আমাদের বহুদূর হাঁটতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুরও ভূয়সী প্রশংসা করেন রওশন। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। তিনি স্বাধীন না করলে স্বাধীন দেশ পেতাম না। সংসদে এসে আমরা সংসদ সদস্য হতাম না। বক্তব্যও দিতে পারতাম না।’
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই উড়োজাহাজে ভ্রমণের অভিজ্ঞওতা তুলে ধরেন এরশাদ পত্নী। বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন তার দেখা না হলে অনুভূতি অসমাপ্ত থেকে যেত।
জাতীয় সংসদে আনা প্রস্তাবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে দলীয় গণ্ডিতে আবদ্ধ রাখা সমীচীন নয়। সব দলের জন্য তিনি জাতির পিতা,“ বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।’