রেলের ১৫৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম রেল দিবস পালন হলো। রোববার রেল দিবস ২০২০ উপলক্ষে রাজধানীর রেল ভবনে এক আলোচনা সভা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল ৪ টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে।
রেল ছাড়া একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রেলের বয়স ১৫৮ বছর। কিন্তু এটা আমাদের প্রথম জন্মদিন পালন। এখন থেকে প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে রেল দিবস পালন করা হবে।’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আমরা রেল দিবস পালন করছি; কিন্তু আমাদের সামনে কেক নাই, ফুল নাই। স্বল্প সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে; তাই এ অবস্থা। অফিসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও আজকেই জেনেছেন অনুষ্ঠানের বিষয়টি।’
‘আমরা যদি আমাদের জন্মের কথা না জানি, আমরা যদি আমাদের নিজেদের না চিনি, আমাদের ইতিহাস না জানি; তাহলে এগোব কীভাবে? আমাদের সামনে এগোনোর জন্য ইতিহাস-ঐতিহ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।’ বলেন রেলমন্ত্রী।
লোকবলের স্বল্পতার কারণে রেলে যে ঘাটতি রয়েছে; তা আমরা নিয়োগের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারায় রেল যেন একটি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে রেলকে এগিয়ে নিচ্ছি।’
১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ অংশে রেলের যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক শামছুজ্জামান।