বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযুদ্ধের ২৭ হাজার অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:২৮

মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি বা আগ্নেয়াস্ত্র স্থানান্তর কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ওই অস্ত্রগুলো সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না সে বিষয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে রিটে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত প্রায় ২৭ হাজার অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচতে চায় সরকার’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি করা হয়। বিবাদী করা হয়েছে প্রতিরক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব এবং বাণিজ্য সচিবকে।

মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি বা আগ্নেয়াস্ত্র স্থানান্তর কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ওই অস্ত্রগুলো সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না সে বিষয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে রিটে।

এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোনো সংগঠনের কাছে হস্তান্তরের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

রিটকারীদের আইনজীবী শাহীনুজ্জামান জানিয়েছেন, বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিটটির শুনানি হতে পারে।

ওই জাতীয় দৈনিকটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলো বেচে দিতে চায়। সরকারের যুক্তি হচ্ছে এগুলো পুরোনো, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর। প্রাচীন নিদর্শন বা স্মৃতিচিহ্ন (অ্যান্টিক সুভ্যেনির) হিসেবে অস্ত্রগুলো কিনে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও সুইজারল্যান্ডের একটি অস্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

রপ্তানি করতে চাওয়া পুরোনো অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে তৈরি ০.৩০৩ রাইফেল নম্বর-৪ এমকে-১; ৯ এমএম স্টেন এসএমজি এমকে-২ ও সিএম ৯ এমএম স্টেন এ১; ভারতে তৈরি ৭.৬২ এমএম এসটিআর এল১ এ১ /১ এ ১ ও রাইফেল জি-৩; পাকিস্তানে তৈরি ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭; যুক্তরাষ্ট্র/রাশিয়া/জাপানে তৈরি পিস্তল ও রিভলবার ৭০০ এবং জার্মানি/যুক্তরাজ্য/ভারতে তৈরি এলএমজি এইচকে ১১ এ১ সিএএল ৭.৬২ * ৫১।

আট শ্রেণি মিলিয়ে অস্ত্রের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৬২। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ৪৫৪টি হচ্ছে ০.৩০৩ রাইফেল নম্বর-৪ এমকে-১। আর সবচেয়ে কম ১১৫টি হচ্ছে ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭।

এ বিভাগের আরো খবর