চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সোনালী ব্যাংকে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যাংকার ও গ্রাহকদের জিম্মি করে সাড়ে আট লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন হেলমেটধারী তিন জন।
রোববার বেলা সোয়া ২টায় উপজেলার উথলী শাখায় একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি সাইফুল ইসলাম।
খবর পেয়ে দ্রুত উথলী বিশেষ ক্যাম্পের বিজিবি ও জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা অস্ত্রধারীদের ফেলে যাওয়া পিস্তলের ম্যাগজিন উদ্ধার করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় যাওয়ার আগেই ডাকাতরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
নিউজবাংলাকে ওসি বলেন, ‘ফেইক অস্ত্র, মানে ভুয়া প্লাস্টিকের অস্ত্র নিয়ে গুলি করি গুলি করি বলেও কেউ গুলি করে নাই, আর সবাই সরে গেছেন।’
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে সেটা নকল, তা আমরা বুঝতে পেরেছি। কারণ, সে অস্ত্রের একটি অংশ আমরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছি, সেটা প্লাস্টিকের।’
ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্যাংকে ছুটে যান
তিনি বলেন, ‘অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের গার্ডকে জিম্মি করে। এরপর তারা ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়।…যারা এই ঘটনা সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
উথলী শাখার ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, মোটরসাইকেলে করে হেলমেট পরা তিন জন ব্যাংকে এসে পিস্তল উঁচিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। সবার মোবাইল ফোন নিয়ে একটি কক্ষে সবাইকে আটকে রাখে। পরে কাউন্টারে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
অস্ত্রধারীরা ব্যাংক ছেড়ে যাওয়ার সময় এক গ্রাহক চিৎকার দিলে বাজারের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। তখন অস্ত্রধারীরা পিস্তল উঁচিয়ে লোকজনকে গুলি করার হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা অস্ত্রধারীদেরকে ইটপাটকেল মারতে থাকে। কিন্তু তারা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিল লিংকন, সোনালী ব্যাংকের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।