ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ২২৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার কমিশন সভায় এ অনুমোদন হয় বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছের দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান ও কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম এবং সিনিয়র সচিব মো. দিলওয়ার বখত উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর আলম।
সম্রাটের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি হয়।
তদন্তে জানা গেছে, সম্রাট সিঙ্গাপুরের ২ ক্যাসিনোতে ৩.৬৫ কোটি সিঙ্গাপুর ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১৯ কোটি টাকা) ক্যাশ ইন বা জমা এবং ২.০৩ কোটি সিঙ্গাপুর ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা) ক্যাশ আউট বা উত্তোলন করেন।
মালয়েশিয়ার একটি ক্যাসিনোতে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল ২ লাখ ২৫ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা) লেনদেন করেন।
তদন্তে তার নামে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাতআয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এবং ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাচারের মাধ্যমে শান্তি যোগ্য অপরাধ করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেন।