বিদেশ থেকে আসা প্রত্যেককে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ১০০টি ভেন্টিলেটর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি ভেন্টিলেটরগুলো হস্তান্তর করে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে আসার সময় অবশ্যই করোনার সনদ আনতে হবে। যাদের সনদ থাকবে না, তাদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
ওই সময় অবৈধ ও অনুমোদনহীন হাসপাতাল বন্ধ হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, লাইসেন্স পেতে নির্দিষ্ট সময়ে যারা আবেদন করেছে, তাদের হাসপাতাল কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেয়া হবে। যেসব হাসপাতালে যন্ত্রপাতির অভাব আছে, তাদেরও সেটা পূরণ করতে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘লাইসেন্সহীন হাসপাতালে বন্ধে সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেবার নামে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।’
ভ্যাকসিন আসার আগে মাস্কই নিরাপত্তার একমাত্র হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পেতে মাস্ক পরে আসতে হবে। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বাস্তবায়নে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ভেন্টিলেটর নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু করোনা রোগী নয়, অন্যান্য রোগীরা ভেন্টিলেটর ব্যবহার করতে পারবে। এরই মধ্যে আমরা আরও ৩০০ ভেন্টিলেটর নিয়ে আসছি।
‘দেশের প্রতিটি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছি। সকলের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। সে লক্ষ্যে কিছু দেশের সঙ্গে ভ্যাকসিন পেতে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র শুধু অংশীদারিত্ব নয়, সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করছে।