দেশে দারিদ্র্য, অশিক্ষা ও নারীর প্রতি অবহেলার কারণে সেরিব্রাল পলসি রোগের বিস্তার বেশি বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শনিবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সেরিব্রাল পালসির সার্জিক্যাল চিকিৎসা সংক্রান্ত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোসার্জন অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পুষ্টিহীনতা ও বাচ্চা হওয়ার সময় পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়া। এ দুটি সমস্যার কারণে সেরিব্রল পলসি রোগ হতে পারে। তাই আমাদের প্রথম কাজ হবে এটি প্রতিরোধ করা। যদি রোগটি হয়ে যায় তাহলে সার্জিক্যাল অপারেশন করা। এতে রোগটি ভালো হয়।
‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এর অপারেশন করাতে ব্যয় তিন-চার লাখ টাকা হলেও আমরা কিন্তু এক লাখ টাকায় এ চিকিৎসা দিচ্ছি।’
সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রসবকালে ও প্রসবপরবর্তীতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে মস্তিস্ক সংকুচিত হলে সেরিব্রাল পলসি রোগ হয়। এ রোগ জন্মের পরই ধরা পড়ে। পরিবারের দৃষ্টিতে স্বাভাবিক চলাফেরা জ্ঞানবুদ্ধি ব্যাহত হয়, রোগীর খিচুঁনি হয়, লালা পড়ে, কথা বলতে পারে না, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়, হাত পা শক্ত হয়ে যায়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে সাশ্রয়ী ব্যয়ে সেরিব্রাল পলসির অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দেশে ১০০০ বাচ্চা জন্ম নিলে এর মধ্যে ৩.৫ শতাংশ বাচ্চা আক্রান্ত হয় সেরিব্রাল পলসিতে। যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় ১.৫ গুণ বেশি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলতি মাসেই এই রোগের অপারেশন করা হয়েছে বলেও জানানো হয় সেমিনারে।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জন ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোস্তফা মাহবুব, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার নাজমুল হক, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মেজবা উদ্দিন আহমেদ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও সহযোগী অধ্যাপক কণা চৌধুরীসহ প্রমুখ।