কুমিল্লায় একটি মাদ্রাসায় ছেলে শিশুকে ধর্ষণের পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার তথ্য পাওয়া গেছে। ছেলেটির বাবা থানায় অভিযোগ করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন শিক্ষককে।
ঘটনাটি ঘটেছে দেবিদ্বার উপজেলার নিউমার্কেট এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুল নূর মাদ্রাসায়। গ্রেফতার মো. শাহজালাল ওই মাদ্রাসার ‘কারি’ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে মাদ্রাসার হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা শাহজালালকে গ্রেফতারের পরদিন তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
বাবার করা অভিযোগে বলা হয়, কারি শাহজালাল ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ছেলেকে ধর্ষণ করেন। ছেলেটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে তাকে আদালতে নেয়া হয় জবানবন্দির জন্য।
১৩ বছর বয়সী শিশুটিকে তিন মাস আগে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। সে এখানে হাফেজিয়াতে পড়ত।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করি। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
শিশুটির বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পোলাকে কোরআন শিখার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করছি। করোনার ভেতরেও তারা ক্লাস নিত। আমি আশা কইরা মাদ্রাসায় ভর্তি করছি। ছেলেরে এমন করব জানলে কোনো দিন ভর্তি করতাম না।’
বাবা জানান, বাড়ি ফিরে আসার পর তার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন বাবাকে সব খুলে বলে সে। আর তিনি সরাসরি থানায় যান।
শিশুটির বাবা বলেন, ‘একদিন রাতে কোরআন শরিফ দিয়ে চালান দিয়ে পাগল কইরা ফেলব কইয়া ভয় দেখায়া হুজুর আমার পোলার লগে আকাম করছে।’
‘আমি জানতাম না আমার পুতের লগে হুজুরে এইরম কাম করব। আমি হুজুরের বিচার চাই।’