বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাল-ভাতে অভ্যস্ত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ১০:১৫

খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি বরিশালকে ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ ভাবা শুরু করছেন ফিলিস্তিনিরা। তারা মিশে গেছেন স্থানীয়দের সঙ্গে।

সংস্কৃতি ও খাবারে বাংলাদেশের বিপরীত মেরুতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিন। কিন্তু বাঙালি খাবারই আপন হয়ে গেছে বরিশালে পড়তে আসা ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের।

খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি বরিশালকে ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ ভাবা শুরু করছেন ফিলিস্তিনিরা। তারা মিশে গেছেন স্থানীয়দের সঙ্গে।

প্রথম দিকে শিক্ষার্থীরা বাঙালি খাবারে সমস্যায় পড়তেন। আর এখন তারা নিজেদের অনেকটা বাঙালি বলে দাবিও করেন।

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা জানিয়েছেন শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশালে ৩০ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে দুজন নগরীর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে প্রকৌশল নিয়ে পড়ছেন। বাকিরা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

শের-ই বাংলা মেডিক্যালে যারা পড়ছেন, তাদের মধ্যে ২৪ শিক্ষার্থীই থাকেন কলেজের মঈনুল হায়দার ছাত্রাবাসে। বাকি চার জনের মধ্যে দুজন মেয়ে ও দুজন ছেলে কলেজের বাইরে মেসে থেকে পড়াশোনা করেন।

বরিশালে অনেকে ফিলিস্তিনি ছয় থেকে আট বছর ধরে আছেন। এ সময়ের মধ্যে নগরী অনেক উন্নত হয়েছে বলে জানান শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ফিলিস্তিন শিক্ষার্থী ইদ্রিস আবুজিয়াদা।

তিনি বলেন, ‘বরিশালে আছি সাত বছরের বেশি সময় ধরে। এটাকে আমি দ্বিতীয় নিবাস মনে করি। এলাকার অনেকের সঙ্গেই এখন আমাদের সুসম্পর্ক। তাই একটা বন্ধন তৈরি হয়েছে।’

আবুজিয়াদা জানান, ২০১৩ সালে বরিশালে পড়াশোনার জন্য আসেন তিনি। প্রথম প্রথম খাবার নিয়ে সমস্যা হতো। পরে সেটা সয়ে গেছে। নিজেরা রান্না করে খান এখন।

তিনি বলেন, ‘জীবনে প্রথম ইলিশ খেয়েছি বরিশালে। আমাদের দেশে সাগরের মাছ খাই। এখানে নদীর মাছ খেতে পারি। এটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা।’

ওই মেডিক্যালের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আত্তা এম আলজাবউর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আছি। ঢাকার তুলনায় বরিশাল খুবই শান্ত জায়গা। এখানে আমরা প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাই।

‘আমরা মেডিক্যাল স্টুডেন্ট হওয়ায় বাইরে যাওয়ার সুযোগটা খুব কম পাই। এখানকার ৩০ গোডাউন নদীর পাড়ে প্রতিদিনই ঘুরতে যাই।’

এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার পর খাবারের সমস্যা ছিল। ধীরে ধীরে বাংলাদেশিদের মতো হয়ে গেছি। আমরা ডাল ভাজি, ভাত খেয়ে থাকি। চিংড়ি মাছটা বেশি পছন্দ করি।

‘আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অনেক ব্যবধান। বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক সুন্দর।’

কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হাতেম রাবা বলেন, ‘বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আমরা খুব ভালো আছি এখানে। সবাই খুব সাহায্য করেন।’

মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন নগরীর আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও ফিলিস্তিন শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক নিবিড়। 

স্থানীয় মুশফিকুর রহমান ও মো. সুনান জানান, ফিলিস্তিনিরা খুব নম্র-ভদ্র। স্থানীয় সবার সঙ্গেই তাদের সুসম্পর্ক। অনেকেই ভালো বাংলাও বলতে পারেন। স্থানীয় দোকানিদের সঙ্গেও তাদের ভালো সম্পর্ক।

এ বিভাগের আরো খবর