গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারে জড়িয়ে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ আলীর স্ত্রী রেখা বেগম, তার ছেলে আজাউল হক ও নাতী সুজন মিয়া।
ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান রাজু জানান, সন্ধ্যার পর রেখা বেগম তার ছেলে ও নাতিকে নিয়ে বাড়ির পাশে জমিতে ধানের চারা রোপন করতে যান। চারা রোপনের পর জমির আইল দিয়ে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। এসময় একটি জমিতে পড়ে থাকা বিদ্যুতের ছেড়া তারে জড়িয়ে আহত হন তিন জন। পরে আশপাশের লোকজন তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির ওপর দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে ঝুলন্ত তারে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নেয় প্রতিবেশিরা। কয়েকদিন আগে বাঁশের খুঁটি ভেঙ্গে জমিতে বিদ্যুতের তার পড়ে থাকে। কিন্তু বিষয়টি জানা না থাকায় সেই তারে জড়িয়ে মা ও ছেলেসহ একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়।
স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুতের তার জমিতে পড়ে থাকলেও তা মেরামত করেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিষয়টি স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজনকে জানালেও খুঁটি ও তার সরানোর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। একই সঙ্গে তিন জনের প্রাণ হারানোর ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন তারা। তবে এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুন্দরগঞ্জ জোনাল অফিসের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সুন্দরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ছামছুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।