বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে লাইসেন্সবিহীন ৪৩০ ক্লিনিক

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:১১

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশের পর লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তবে অনেক ক্লিনিক বলছে, আবেদন করা হলেও লাইসেন্সের প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

২০১৪ সালে চালু হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্সের জন্য প্রথমে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আবেদন করে। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলে পরবর্তীতে লাইসেন্সের জন্য ২০১৮ সালে আবেদন করে। কিন্তু এখনও লাইসেন্স অনুমোদন হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। ছয় বছর ধরে লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।

শুধু ফতেয়াবাদ ক্লিনিক নয়, চট্টগ্রামে এরকম ৪৩০টি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে লাইসেন্স ছাড়া। এর মধ্যে লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে লাইসেন্স পায়নি অনেক প্রতিষ্ঠান।

ফতেয়াবাদ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সেবা চালুর আগে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। কিন্তু অনলাইনে আবেদন করার কারণে প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা হয়েছে। এজন্য আমাদের লাইসেন্সটি এখনও অনুমোদন হয়নি। তবে আমরা লাইসেন্স অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করছি।’

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ৫৮০টি। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স রয়েছে ১৫০টির।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০০টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য পরিদর্শন করা হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স ছাড়া চলছে।’

আরও পড়ুন: অবৈধ হাসপাতাল বন্ধ শুরু, চট্টগ্রামে সিলগালা ‌‘সিটি হেলথ’

 

চট্টগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে সনাতন পদ্ধতিতে লাইসেন্স দেওয়া হতো। কিন্তু হঠাৎ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর লাইসেন্স প্রক্রিয়া অনলাইনে করে ফেলে। এতে করে অনেক প্রতিষ্ঠান সময়মতো আবেদন করতে পারেনি। চট্টগ্রাম এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের বিষয়টি দেখার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়কে বলেছি। কেন তারা আবেদন করতে পারেনি, ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত হয়েছে- এটা জানা দরকার। যদি ইচ্ছাকৃত আবেদন না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’

 

এদিকে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা চিকিৎসাকেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়গুলোতে নির্দেশ দিয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি নিউজবাংলাকে বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের তিনটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. লিয়াকত আলী খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে আমরা সেটির প্রতিবাদ করব না। আমরা ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে অনুরোধ করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর