সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম টিপুকে কুপিয়ে আহত করার পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই ছাত্রনেতাকে যারা কুপিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ আছে, তাদের একজনের বাবা এই মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বরিশাল মহানগর হাকিম আনিছুর রহমানের আদালতে মামলাটি করেন নগরীর কালীবাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন। তিনি বরিশালে কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ‘আব্বা গ্রুপ’-এর নেতা তানজিম রাব্বীর বাবা।
মামলায় কাউনিয়া এলাকার অনিক রেজা আকাশ, আশিক, মনসাবাড়ি গলির দোলন হাওলাদার, শীতলা খোলা এলাকার সাজ্জাত বিন শাখাওয়াতসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর রাতে নগরীর কালিবাড়ী রোডের একটি হোটেলে ঢুকে ছাত্রদল নেতা টিপুকে কুপিয়ে আহত করা হয়। প্রতিপক্ষরা তার মাথায় ছয়টি ও পেটে একটি কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
টিপুকে প্রথমে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
তবে বৃহস্পতিবারের মামলায় বলা হয়েছে, টিপুসহ আসামিরা সবাই সন্ত্রাসী। বাদীর ছেলে ফজলে রাব্বি তানজিম গত ৭ নভেম্বর বরিশাল কলেজের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গেলে রফিকুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
ওইদিন রাতে বাদীর বড় ছেলে জাহিদ হাসান রাজিন শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেনের একটি হোটেলের সামনে গেলে সেখানে তার সঙ্গেও আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়।
মামলায় বলা হয়, ওই সময় হোটেলের ভেতর থেকে দা এনে রাজিনের মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেন টিপু। রাজিন সরে যাওয়ায় মাথায় না লেগে তার ডান হাঁটুর নিচে কোপ লাগে। এ সময় অন্য আসামিরাও তার ওপর হামলা চালায়।
হামলায় রাজিনের বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল জখম হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ সময় রাজিনের চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে তার পকেটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
আহত টিপুর অনুসারীরা জানিয়েছেন, ছাত্রদল নেতার ওপর হামলাকারীরা ‘আব্বা গ্রুপের’ সদস্য। মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় ওই গ্রুপের নেতা সৌরভ বালা, তানজিম রাব্বি, রাজিনসহ ৪০ থেকে ৫০ জন টিপুর ওপর হামলা চালায়।
এদের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তারা।
২০১২ সালে একই স্থানে টিপুর ভাই সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রাফসান আহম্মেদ জিতুকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল প্রতিপক্ষরা।