বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯০ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩৪ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২০ ২০:২৫

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন জলদস্যুরা।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অস্ত্রসহ ৩৪ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এরা ১১টি দস্যু বাহিনীর সদস্য।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন জলদস্যুরা।

তারা দেশি-বিদেশি ৯০টি অস্ত্র ও দুই হাজার ৫৬ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজ জমা দেন। এসব জলদস্যু চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের দস্যুতা করতেন।

অস্ত্রের মধ্যে আছে তিনটি এলজি- ৪১ টি, থ্রি কোয়াটার এলজি ১৯টি, বিদেশি পিস্তল একটি, রিভলবার একটি, এসবিবিএল পাঁচটি, এসবিবিএল বন্দুক ১৬টি, ডিবিবিএল বন্দুক একটি, ওয়ান শুটারগান একটি, থ্রি কোয়াটার ওয়ান শুটারগান একটি, এসবিবিএল ওয়ান শুটারগান একটি, পাইপগান একটি, এয়ারগান দুইটি এবং পয়েন্ট ১২ বোরের গুলি ৮৮৬ টি এবং পয়েন্ট ২২ বোর রাইফেলের গুলি এক হাজার ১৭০টি।

র‌্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদুল হাসান মামুন নিউজবাংলাকে জানান, ১১টি দস্যুবাহিনীর ২৪ জন ও অন্য আরও ১০ জনসহ ৩৪ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

এখনও যারা আত্মসমর্পণ করেননি তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।

আত্মসমর্পণ করা এসব জলদস্যুর অধিকাংশের বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া অন্য মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তারা যেন সমাজের মূলধারায় ফিরে আসতে পারেন, সেজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আশেকউল্লাহ রফিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান।

২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত র‌্যাব চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪৮ জন জলদস্যুকে আটক করে। উদ্ধার করে ৭৯৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং আট হাজার ৮৪২ গুলি।

২০১৮ সালেও ৪৩ জন জলদস্যু র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

যারা আত্মসমর্পণ করেছেন

বাইশ্যা বাহিনীর মো. আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা ডাকাত, আহামদ উল্লাহ, আব্দুল গফুর ওরফে গফুর, দিদারুল ইসলাম ওরফে পুতিক্যা, জসিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাইশ্যা, বেলাল মিয়া, আব্দুল হাকিম বাক্কু, রশিদ মিয়া।

বাদল বাহিনীর কুতুবদিয়া থানার আব্দুর রহিম, মাহমুদ আলী প্রকাশ ভেট্টা, মো. ওবায়দুল্লাহ, মো. ইসমাইল, সাহাবুদ্দিন ওরফে টুন্নু।

রমিজ বাহিনীর মো. ইউনুছ, তৌহিদ ইসলাম, মো. ফেরদৌস, রেজাউল করিম।

বাদশা বাহিনীর নিজাম উদ্দিন ভাণ্ডারী, মো. ইউনুস, কামাল উদ্দিন, আব্দুস শুক্কুর, ইউনুচ মিয়া।

জিয়া বাহিনীর সাহাদাত হোসেন দোয়েল, মো. পারভেজ, মো. নাছির, আমির হোসেন, মো. সাকের।

কালাবদা বাহিনীর সেলিম বাদশা, আব্দুল গফুর ওরফে গফুর, আবু বক্কর সিদ্দিক, মামুন মিয়া, মন্জুর আলম।

‘বাইশ্যা ডাকাত দলের’ নেতা আব্দুল হাকিম বলেন,‘ডাকাত জীবনটা ভালো না। ভুল বুঝে আর খারাপ মানুষের প্রলোভনে এই অন্ধকার পথে চলে এসেছি। খুব যে টাকা পয়সা করেছি তাও না। একটা দিনও শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি। মানুষ আমাকে খারাপ জানে, তাতে কষ্ট নেই। কিন্তু আমার ছেলে-মেয়েকেও সবাই ঘৃণা করে। ভালো হবার সুযোগ পেয়েছি, তাই কাজে লাগালাম।’

এ বিভাগের আরো খবর