পঞ্চগড় জেলার তালমা নদী দখল ও ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় পাবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আদেশ বাস্তবায়ন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে সিএস ও আরএস পর্চা অনুযায়ী দখলমুক্ত ও ভরাট বন্ধ করে তালমা নদী রক্ষায় বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- জানাতে রুল দিয়েছে আদালত।
জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে বন ও পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ চৌধুরী রাসেল।
তালমা নদী দখল ও ভরাট নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়েছিল।
এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, পঞ্চগড় জেলা শহরের উপকণ্ঠের তালমা নদীতে বালু ফেলে দখল করছে সৌদি বাংলা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইকো ফ্রেন্ড লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি কোম্পানি।
এর আগে নদী দখল করে গড়ে উঠেছে ‘হিমালয় বিনোদন পার্ক’। ফলে নদীটি এখন অর্ধমৃত অবস্থায়।
ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে তালমা নদী পঞ্চগড়ের ভিতরগড় অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এই নদী বাংলাদেশে প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে পঞ্চগড় শহরের প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে কাজলদীঘির নিকটবর্তী করতোয়া নদীতে পড়েছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন নিউজবাংলাকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। নির্ধারিত সময়েরই মধ্যেই নদী দখলমুক্ত করা হবে।