বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পেট্রল বোমা মারছে’, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২২

‘বাসটা অফিসের সামনে দাঁড়ায়া আছিল। পৌনে ১২ টার দিকে কিছু লোক আইস্যা পেট্রল বোমা মারে। এরপর আগুন লাইগ্যা যায়।’

নাইটিঙ্গেল মোড়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের বাসে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নিরাপত্তা কর্মী সোলায়মান মিয়া।

তিনি আগুনের ঘটনাটি সামনে থেকে দেখেছেন। সংস্থাটির আরও কিছু কর্মী দিলে আগুন নিভিয়েছেন।  

নিউজবাংলাকে তিনি জানান, একদল লোক হঠাৎ করে এসে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে পেট্রল বোমা ছুড়ে মারে। এরপর তারা আগুন নেভান।

 

সোলায়মান কার কার্যালয়ের সামনে পুড়ে যাওয়া বাসটি দেখিয়ে বলেন, ‘বাসটা অফিসের সামনে দাঁড়ায়া আছিল। পৌনে ১২ টার দিকে কিছু লোক আইস্যা পেট্রল বোমা মারে। এরপর আগুন লাইগ্যা যায়।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন দেয়া হয় মিছিল থেকে

 

‘তারপরে আমরা আমাগো অফিসের পাইপ আইন্যা পানি দিয়া আগুন নিভাই’-নিজেরা কী করেছেন, তা তুলে ধরেন এই নিরাপত্তা কর্মী।

যারা আগুন দিয়েছিল তারা কোথায় ছিলেন-এমন প্রশ্নে সোলায়মান বলেন, ‘আগুন দেয়ার পর ডাইন দিক দিয়া যে গলি আছে, সেইটা দিয়া দৌড়ায়া পালায়া যায়।’

ফায়ার সার্ভিস এসেছিল কি না, এমন প্রশ্নে সোলায়মান বলেন, ‘না ভাই, ফায়ার সার্ভিস আইব কেমনে। ফায়ার সার্ভিস আেইতে আইতে তো বাসের কিছুই থাকত না। সব পুইড়া ছাই হয়া যাইত।

২০১২ ও ২০১৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আর ২০১৫ সালের সরকার পতনের আন্দোলনের সময় এই ধরনের আগুনের বহু ঘটনা ঘটেছে। তবে গত পাঁচ বছরে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার আগুন দেয়া হয়েছে রাজধানীর নয়াপল্টনের নাইটিঙ্গেল, মতিঝিল, গুলিস্তান, সচিবালয়, শাহবাগ, নর্দা, খিলগাঁও, বংশাল ও নয়াবাজার এলাকায় 

প্রগতি সরণির কোকাকোলা মোড় এলাকায় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয় বেলা সোয়া চারটার দিকে। সেখানে যারা আগুন দিয়েছিল, তারা যাত্রী হিসেবে উঠে বাসটিতে।

প্রগতি সরণীতে ভিক্টর পরিবহনের বাসে আগুন দেয়া হয় যাত্রীবেশে

 

কুড়িল থেকে নতুনবাজার যাওয়ার পথে ব্রাদার্স ফার্নিচারের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে।

চালক মাহবুব আলম ওই বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে বসে কাঁদছিলেন। তিনি বলেন, ‘যাত্রী সাইজ্যা বাসে উইঠ্যা আগুন দিছে।’

বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ‘আমার ভরা গাড়ির আগুন লাড়ায়া দিছে, আল্লাহরে। …পিছনে আগুন ধরায়া দিছে। যাত্রী সাইজ্যা আগুন ধরায়া দিছে। যাত্রীরা জাগাততে নাইম্যা গেছে।’

তিনি জানান, বাসটির মালিকের নাম শাহ আলম মিয়া। বলেন, ‘মহাজন ঋণমিন কইরা গাড়িডা নামাইছে।’

যাত্রী সাইজ্যা বাসে উইঠ্যা আগুন দিছে, কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন চালক মাহবুব আলম

 

‘আল্লাহরে, আগুন লাগায়া দিছে রে ভাই’- বলে আবার কাঁদতে থাকেন মাহবুব আলম।

আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল বাসের আগুন। সেখানে তখন ছিল গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকজন সদস্য। তারা ব্রাদার্স ফার্নিচার থেকে ফায়ার এক্সটিংগুইসার ও রাস্তার পাশের বালু দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে সফল হননি।

প্রগতি সরণিতে আগুন দেয়ার আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস এসে তা নিয়ন্ত্রণে আনে

 

পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে তা নেভায়। ততক্ষণে বাসের প্রতিটি আসন পুড়ে যায়, বিস্ফোরিত হয় গ্যাসের সিলিন্ডার।

তবে যাত্রীরা সবাই নেমে যাওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

এ বিভাগের আরো খবর