রাজধানীর কুর্মিটোলায় রাস্তার পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় আগামী ১৯ নভেম্বর রায় দেবে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এই সিদ্ধান্ত জানান।
মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা করা শেষ হওয়ার পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ।
মামলায় বলা হয়, ওই ছাত্রী গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামলে এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরে আসার পর ওই ছাত্রী অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
পরদিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
গত ৮ জানুয়ারি মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব। ৯ জানুয়ারি তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দেয় আদালত। ১৬ জানুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মজনু।
১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর। ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক কামরুন্নাহার ভার্চুয়াল আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।