রাজধানীর একটি আসনে উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে কাছাকাছি সময়ে ছয়টি স্থানে বাসে আগুন লাগার ঘটনা পরিকল্পিত বলে মনে করছে পুলিশ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েকটি ঘটনার ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে। ‘নাশকতায়’ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পুলিশ।
সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটে বিএনপি কারচুপির অভিযোগ তোলার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসে এসব আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
২০১২ ও ২০১৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং ২০১৫ সালে সরকার পতনের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের সময় রাজধানীতে এই ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। তবে গত পাঁচ বছরে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। কারণ একই সময়ে এতগুলো স্পটে আগুন লাগার কথা না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। কারা ঘটিয়েছে, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। কারা জড়িত থাকতে পারে, সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে।’
সকালে ভোট চলাকালে বিএনপির প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। তিনি অভিযোগ করেন, তার এজেন্টদের জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি।
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। এর পরপরই নয়াপল্টন এলাকায় একটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে।
পরে গুলিস্তান, শাহবাগ, সচিবালয়, মতিঝিল ও খিলগাঁও এলাকায়ও বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে।
দুপুরের পর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে দলের নেতাকর্মীরা ছিলেন না।