নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ তদন্তে গঠন করা কমিটি নয় দিন পর দিয়েছে প্রতিবেদন। তবে তাতে কী বলা আছে, সেটা প্রকাশ করতে চাইছেন না সিভিল সার্জন।
বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, গত ২ নভেম্বর বড়াইগ্রামে চক তেবাড়িয়া গ্রামের ১০ বছর বয়সী আরিফুল ইসলাম প্লাস্টিকের বাঁশি বাজানোর সময় সেটি তার গলায় আটকে যায়। স্বজনরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী রাসেল শিশুর শ্বাসনালীতে অস্ত্রোপচার করে বাঁশিটি বের করার চেষ্টা করেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির মৃত্যু হলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্বজনরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে শিশুটির বাবা সদর থানায় মামলা করেন।
চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী রাসেল। ছবি: নিউজবাংলা
এই ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করা হয়। তাদের তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে তারা সময় নিয়েছে নয় দিন।
এতে কী বলা আছে, সে বিষয়ে তদন্ত কমিটির সভাপতি, নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক আনছারুল হক বলেন, ‘ তদন্ত রিপোর্টের ব্যাপারে কিছুই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত করে যা পেয়েছি, সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে।’
জেলা চিকিৎসা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে’ পাঠানো হবে প্রতিবেদনটি। তারা ঘটনা যাচাই করে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
শিশুটিকে চিকিৎসা দেয়া মোহম্মদ আলী রাসেল বলেন, ‘শিশুটিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। তাকে অন্য কোথাও রেফার করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আজ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠল। কর্তৃপক্ষ সত্য ঘটনা সামনে আনবেন বলে আমার আস্থা আছে।’