ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১, ১৭, ৪৩ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড ও বিমানবন্দর এলাকা নিয়ে গঠিত। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সদরের একাংশ ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-১ আসন।
বাসসের খবরে জানানো হয়, এ দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ছয় রাজনৈতিক দলের ৮ প্রার্থী। ঢাকা-১৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। আর সিরাজগঞ্জ-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী।
এদিকে এ দুই আসনে ভোটের দিন শুধু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বাকি সব অফিস খোলা থাকবে। তবে ভোটারদের ভোট দেয়ার সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন গত ৯ জুলাই মারা যাওয়ায় ঢাকা-১৮ আসন এবং মোহাম্মদ নাসিম ১৩ জুন মারা গেলে সিরাজগঞ্জ-১ আসন শূন্য ঘোষণা করে জাতীয় সংসদ। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় এ আসন দুটিতে উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে ভোট দিতে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর সকাল ৮টায় বের হয়েছেন ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে। তিনি আব্দুল্লাহপুর মালেকা বানু হাই স্কুলে ভোট দেবেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ হাবীব হাসান উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন।
নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুই নির্বাচনি এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য। নির্বাচনি এলাকায় তারা টহল দিচ্ছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ দুটি আসনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ভোট উপলক্ষে বুধবার মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচল বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে কিছু যান চলাচল করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১, ১৭, ৪৩ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড ও বিমানবন্দর এলাকা নিয়ে গঠিত। এ আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২১৭টি ও ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৩টি। মোট ভোটার পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৫ জন।
এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাবিব হাসান, বিএনপির এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ওমর ফারুক, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ ও পিডিপির মহিববুল্লা বাহার।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সদরের একাংশ ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর শাকিল জয় ও বিএনপির প্রার্থী মো. সেলিম রেজা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৪১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬২ জন। ১৬৮টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।