বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘তিন হাজার’ হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২০

‘আমরা অনলাইনে নিবন্ধন ও লাইনেন্স নবায়নে জন্য একটি নির্ধারিত তারিখ বেঁধে দিয়েছিলাম। সেই সময়ের মধ্যে যারা আবেদন করেছে তাদের লাইসেন্স নবায়ন ও নিবন্ধনের কাজ চলছে। যারা এই আবেদন করেনি তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

সারা দেশে অনুমোদন ছাড়া চলা সব হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশের সব সিভিল সার্জনকে দুই দিন আগে চিঠি দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল বিভাগের পরিচালক পরিচালক ফরিদ উদ্দীন মিয়া নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, তাদের তথ্য বলছে, দেশে অনুমোদনহীন হাসপাতালের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। বন্ধ করে দেয়া হবে সবগুলো।

পরিচালক বলেন, ‘আমরা অনলাইনে নিবন্ধন ও লাইনেন্স নবায়নে জন্য একটি নির্ধারিত তারিখ বেঁধে দিয়েছিলাম। সেই সময়ের মধ্যে যারা আবেদন করেছে তাদের লাইসেন্স নবায়ন ও নিবন্ধনের কাজ চলছে। যারা এই আবেদন করেনি তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

বুধবার সচিবালয়ে এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের সঙ্গে সভা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। সেখানেও উঠে প্রসঙ্গটি।

সভাশেষে তিনি বলেন, লাইসেন্সের বাইরে অনেক হাসপাতাল রয়েছে। এগুলোর হিসাব পেতে গত পরশু জরুরি বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক বিভাগীয় পরিচালককে বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের এলাকার লাইসেন্সহীন হাসপাতালের তালিকা দিতে বলা হয়েছে।

মহাপরিচালক জানান, অবৈধগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি বৈধগুলোতেও তাার অভিযান চালাবেন। আগামী এক মাসের মধ্যেই এই কাজ চলবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দুই বছর আগের জরিপ বলছে, দেশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৭ হাজার ২৪৪টি।

এর মধ্যে লাইসেন্স করা হাসপাতাল-ক্লিনিকের সংখ্যা ছয় হাজার ৬৭টি। এর দুই হাজার ১৩০টি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার তিন হাজার ৮৫৬টি, ব্লাড ব্যাংক ৮১টি।

বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুাজ্জামান খান কামাল কামাল জানিয়েছেন, ‘এ ধরনের হাসপাতাল শনাক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যোগ্য প্রতিনিধি নিয়ে অভিযান চালাবে।’

বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমার পর চলতি বছর সরকার এই খানে শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নেয়। লাইসেন্স নবায়ন বা আবেদন করতে গত ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়।

এই সময়ের মধ্যে জমা পড়ে ১৪ হাজারের মতো আবেদন। কথা ছিল যারা আবেদন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে হয়নি অভিযান।

আবার যেসব আবেদন জমা পড়েছে, তাদের মধ্যে হালনাগাদ লাইসেন্স আছে পাঁচ হাজার ৫১৯টির। যাচাই-বাছাই ও পরিদর্শনের অপেক্ষায় সাত হাজার ৪১টি।

অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র পাওয়া গেছে তিন হাজার ৩০৪টি। এগুলোর কোনোটির ট্রেড লাইসেন্সই নেই, কোনোটির নেই পরিবেশ ছাড়পত্র বা অবস্থানগত ছাড়পত্র, কোনো কোনোটির অন্য ত্রুটি আছে। ফলে আইন অনুযায়ী এদেরও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই।

হাসপাতালের লাইসেন্সের বিষয়টি দেখভাল করার কথা টাস্কফোর্স কমিটির। কিন্তু আড়াই মাসেও অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়নি।

 

এর মধ্যে গত সোমবার ঢাকার বেসরকারি হাসপাতাল ‘মাইন্ড এইড কেয়ার ইনস্টিটিউট’ এ পুলিশের জ্যেষ্ঠ এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। প্রকাশিত একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, তাদের কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার সিভিল সার্জন মইনুল আহসান জানান, এই হাসপাতালটিরও লাইসেন্স নেই। গত মার্চে তারা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তবে তাদের কাগজপত্র সম্পূর্ণ নয়, হাসপাতালেও নেই পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা।

এর আগেও নানা সময় বিভিন্ন হাসপাতালে নানা অনিয়ম প্রকাশের পর একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জানা গেছে, ওই হাসপাতালের অনুমোদন ছিল না।

 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন কর্মকতা বলেন, তাদের যে শাখা বেসরকারি চিকিৎসালয় দেখাশোনা করে, তাতে কর্মকর্তা সব মিলিয়ে ১১ জন। একজন পরিচালক, দুই জন উপপরিচালক, তিনজন সহকারী পরিচালক ও পাঁচ জন মেডিকেল অফিসার। তাদের পক্ষে হাজার হাজার হাসপাতাল দেখভাল করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এ বিভাগের আরো খবর